আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হলেও, তামিম স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় দুপুর ১২টা হলেও তার আগেই এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ সময় একই সঙ্গে হেভিওয়েট প্রার্থী সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, ইসরাফিল খসরুর মতো অন্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
তামিমের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পেছনে মূল কারণ হিসেবে কিছু ক্লাবকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ না দেওয়া নিয়ে তার অসন্তোষকে সামনে আনা হয়েছে। খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের মাধ্যমে অবদান রাখতে আগ্রহী ছিলেন তামিম, বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পাওয়া সম্ভব হলো না।
তামিমের বিদায় নির্বাচনের চিত্রে পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন তিনটি ক্যাটাগরিতে হয়। জেলা ও বিভাগ থেকে মোট ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে, আর বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট ৭১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্লাব ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে একজন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। পরিচালনা পর্ষদের ২৫ সদস্যের ভোটে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হবেন।