দেবী দুর্গা মহিষাসুর নামক এক শক্তিশালী অসুরের দ্বারা সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও অশুভ শক্তি দমনে আবির্ভূত হন। দেবতাদের সম্মিলিত শক্তি থেকে জন্ম নেওয়া এই দশভুজা দেবী নয়দিনব্যাপী রক্তাক্ত যুদ্ধের পর দশম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। এই দশম দিনই বিজয়ের দিন, বিজয়া দশমী।
মহালয়া থেকে শুরু হওয়া মায়ের আগমনের প্রতীক্ষা, আর আজ বিজয়া দশমীতে এসে তার কৈলাসে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের দুর্গাপূজার সব আনন্দ-উৎসব, আয়োজন ও আবেগঘন মুহূর্ত।
মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, প্রিয়জনদের সঙ্গে আড্ডা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, সাজসজ্জা আর উৎসবের রঙে রাঙানো দিনগুলো যেন চোখের পলকে কেটে গেল। আজ বিজয়া দশমীতে সেই আনন্দের মাঝেই বেজে উঠেছে বিদায়ের সুর। হৃদয়ের গভীরে জমে উঠেছে মায়ের বিদায়ের বেদনা। বিজয়া দশমী আমাদের শিখিয়ে দেয়, মায়ের আশীর্বাদে জীবনের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় সম্ভব। এই দিনটি মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, ভালোবাসা এবং সহনশীলতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার একটি অনন্য সুযোগ।
তবুও সবার মুখে একটাই প্রত্যাশা "মা আসবেন আবার, ঠিক এক বছর পর!" এই আশায়, এই ভালোবাসায়, আবারও অপেক্ষা শুরু আগামী পূজোর জন্য।