অনেক সময় হঠাৎ রাস্তায় বা আশপাশে থাকা কুকুরের আক্রমণের শিকার হন মানুষ। এমন অবস্থায় ভয় পেয়ে সময় নষ্ট করলে তা মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, কুকুরের কামড়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে, টিস্যু নষ্ট হতে পারে এবং এমনকি প্রাণঘাতী র্যাবিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।বিশেষজ্ঞদের মতে, কুকুরে কামড়ানোর পর প্রথম ১৫ মিনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যেই নেওয়া সঠিক পদক্ষেপ ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে অনেক সাহায্য করে।
চলুন দেখে নিই, কুকুরে কামড়ালে তাৎক্ষণিক কী কী করবেন,
যদি কামড়ে রক্তপাত হয়, তাহলে একটি পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থানে আলতো চাপ দিন। খুব জোরে চাপ না দেওয়াই ভালো, কারণ এতে জীবাণু আরও গভীরে ঢুকে যেতে পারে।
ক্ষতস্থানে অন্তত ৫–১০ মিনিট ধরে প্রবাহমান পানি ঢালুন এবং হালকা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চিকিৎসকদের মতে, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ এতে কুকুরের মুখের লালা, মাটি ও অন্যান্য জীবাণু ধুয়ে যায়।
ভালোভাবে ধোয়ার পর ক্ষতস্থানে পোভিডোন-আইডিন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক জীবাণুনাশক লাগান। এটি ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
স্টেরাইল গজ বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষত আলতোভাবে ঢেকে রাখুন। তবে ব্যান্ডেজ খুব টাইট করে বাঁধবেন না, বিশেষ করে যদি ক্ষতটি গভীর হয়। এতে করে বাতাস চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
ক্ষত ছোট মনে হলেও দেরি না করে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের কাছে যান। কুকুরের কামড়ে র্যাবিস, টিটেনাস ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ডাক্তার প্রয়োজন বুঝে র্যাবিস ভ্যাকসিন (PEP), টিটেনাস ইনজেকশন এবং অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
প্রাথমিক সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া গেলে কুকুরের কামড় থেকে উদ্ভূত অনেক জটিলতা সহজেই এড়ানো যায়। আতঙ্কিত না হয়ে প্রথম ১৫ মিনিটেই সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই পারে জীবন বাঁচাতে।