অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে স্টুডেন্ট ভিসার এভিডেন্সিয়ারি ফ্রেমওয়ার্কে লেভেল-১ এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও দ্রুততর হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্সের প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভিসার ফলাফলের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে নতুন এভিডেন্স লেভেল কার্যকর হবে। এই আপডেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল-১ এ স্থান পেয়েছে।
আগে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ছিল লেভেল-৩ এ, যেখানে আবেদনকারীদের জন্য কঠোর কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া ছিল। এখন লেভেল-১ এ উন্নীত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে কম খরচে, দ্রুত এবং সহজ প্রক্রিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি উচ্চমানের অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির শর্তও শিথিল হবে।
এই সিস্টেমটি ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে তৈরি, যাতে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া যায় এবং ভিসা জালিয়াতি, অনিয়মের ঘটনা কমে। দেশের ছাত্র ভিসার ইতিহাস, বাতিলের হার, অনিয়মের পরিমাণ ইত্যাদি বিবেচনায় তিনটি লেভেল নির্ধারণ করা হয়। লেভেল-১ এ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, লেভেল-২ এ ভারত, ভুটান, ভিয়েতনাম, চীন ও নেপাল এবং লেভেল-৩ এ ফিজি, ফিলিপাইন ও পাকিস্তান রয়েছে।
লেভেল-১ এ থাকার ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সীমিত থাকবে, যা তাদের জন্য এক বড় সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।