চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাসফিয়া আলম তানজু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা আবদুল হাকিমকে গুলি করে হত্যা করে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে এজাহারে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি জানান, পরবর্তীতে এই চারজনকে দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে আবদুল হাকিম রাউজান উপজেলার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে একজন সহযাত্রীসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন। পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলযোগে আসা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাদের গাড়িকে অনুসরণ করতে থাকে। মদুনাঘাট পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তারা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গাড়িতে থাকা দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবদুল হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং হামিম অ্যাগ্রো নামের একটি গরুর খামারের মালিক। তিনি রাজনৈতিকভাবেও সক্রিয় ছিলেন। স্থানীয়ভাবে বিএনপির স্থগিত হওয়া কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন—আবদুল হাকিম বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী নন।