রোববার (১২ অক্টোবর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই ব্যক্তিরা অন্ধভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। এর ফলে দেশে গুম ও খুনের এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি আরও লেখেন, “তবে কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির অপরাধের দায় পুরো প্রতিষ্ঠান বা বাহিনীর ওপর চাপানো অনুচিত। অপরাধের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই বহন করতে হবে।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিচার প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করার ঘোষণা এবং অভিযুক্তদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জামায়াত আমির বলেন, “আমরা আশা করি, কাউকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ বা শাস্তি দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এতে যেমন অতীতের দায় মেটানো যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ আর নিজের পেশাগত পরিচয়কে ব্যবহার করে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনের সাহস করবে না।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, দীর্ঘ মেয়াদে এ ধরনের ন্যায়বিচার সমাজে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং জাতি উপকৃত হবে।