চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদপ্রার্থী সাইদ বিন হাবিব বলেছেন, ভোট শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত অধিকার। তারা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই নির্বাচিত করবেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবনে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাবিব বলেন, ভোট নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে অকার্যকর হয়ে থাকা চাকসুকে আজ ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে কার্যকর করার সুযোগ এসেছে। শিক্ষার্থীরা এখন তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করাই হবে আমাদের অঙ্গীকার। আমরা একটি স্বপ্নের সুন্দর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার নির্বাচনে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৩২টি পদে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন এবং ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে ১৪টি করে পদে লড়ছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪৭ জন।
মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে সর্বমোট ৪০টি ভোট প্রদান করতে হবে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি এবং হল সংসদের ১৪টি। একেকজন ভোটারকে গড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে বলে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। তবে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় পাবেন ভোটাররা।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে, আর গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে ভোটারদের নির্ধারিত বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৪টা থেকে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফলাফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে এবং কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে।