চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ৯ জেনারেলকে বহিষ্কার করেছে। দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাদের এই বহিষ্কারকে সাম্প্রতিক দশকগুলোর সবচেয়ে বড় সামরিক শুদ্ধি অভিযান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযুক্ত জেনারেলদের সবাইকে দল ও সেনাবাহিনী থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এখন সামরিক আদালতে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলেন হে ওয়েইডং, যিনি চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) উপ-সভাপতি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পর সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন। মার্চ মাস থেকে জনসমক্ষে অনুপস্থিত থাকার পর তার বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
অন্য যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন, সিএমসির রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান মিয়াও হুয়া, রকেট ফোর্সের প্রধান ওয়াং হৌবিন, নৌবাহিনীর রাজনৈতিক কমিশনার ইউয়ান হুয়াঝি এবং সশস্ত্র পুলিশের প্রধান ওয়াং চুননিং।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বহিষ্কারের পেছনে কেবল দুর্নীতিরোধ নয়, বরং সেনাবাহিনীর ওপর শি জিনপিংয়ের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করার কৌশলও থাকতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরেই শি জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছেন। যদিও অনেকের মতে, এটি দলীয় আনুগত্য নিশ্চিত করার কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর ফলে সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় ভয়ভীতি এবং স্থবিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
আগামী ২০ অক্টোবর সিসিপির গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ প্লেনাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বৈঠকে কারা অংশ নেবেন তা থেকে বোঝা যাবে, এই শুদ্ধি অভিযান আসলে কতদূর বিস্তৃত হয়েছে।