জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় রিমন চন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা গঠন করে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা সংরক্ষিত এলাকায় জোরপূর্বক প্রবেশের অভিযোগে, অপরগুলো পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধারা তাদের তিন দফা দাবির প্রতি জোর দেন, যার মধ্যে ছিল জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়া, শহীদ ও আহতদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দায়মুক্তি নিশ্চিত করা। নির্ধারিত সময়ের আগেই কয়েক শত জুলাই যোদ্ধা গেট ভেঙে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ তাদের বের হওয়ার অনুরোধ করলে তা মানা হয়নি। এর ফলে পুলিশ লাঠিপেটা করে যোদ্ধাদের সরায়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুমে আগুন লাগানো হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০ জন ও জুলাই যোদ্ধাদের ৩০ জন আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামের সংগঠন পুলিশি হামলার অভিযোগ। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ: ৪ মামলা, গ্রেপ্তার ১
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের চারটি মামলা দায়ের করে এবং রিমন চন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক জানান, মামলা চারটির মধ্যে রয়েছে সংরক্ষিত এলাকায় জোরপূর্বক প্রবেশ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগ।
বুধবার দুপুরে জুলাই যোদ্ধারা তাদের তিন দফা দাবির পক্ষে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই কয়েকশত যোদ্ধা গেট ভেঙে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাদের বের হওয়ার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করে, ফলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরায়।
সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০ জন ও জুলাই যোদ্ধাদের ৩০ জন আহত হন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং কন্ট্রোল রুমে আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে।
জুলাই যোদ্ধা সংসদ সংঘর্ষকে পুলিশি হামলা উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী রোববার সারা দেশে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।