
অনেকে মনে করেন, কোনো সমস্যা না থাকলে রক্তচাপ মাপার প্রয়োজন নেই। আবার কেউ একটু বেশি মানের চাপ হলে তা পাত্তা দেন না। কিন্তু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তচাপ (Blood Pressure) হলো আমাদের হৃৎপিণ্ড ও রক্তপ্রবাহের অবস্থা বোঝার একটি উপায়। ডাক্তার দেখানোর সময় বা ওষুধ বিজ্ঞাপনে আমরা প্রায়ই এই শব্দটি শুনি। রক্তচাপ ঠিকঠাক না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রক্তচাপ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা জরুরি।
রক্তচাপ মাপার সময় দুটি সংখ্যা দেখা যায়, যেমন: ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি (mmHg)।
সিস্টোলিক চাপ (উচ্চ চাপ): উপরের সংখ্যা, যখন হৃৎপিণ্ড সংকুচিত হয়ে সারা শরীরে রক্ত পাঠায়।
ডায়াস্টলিক চাপ (নিম্ন চাপ): নিচের সংখ্যা, যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে ও নতুন রক্ত গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়।
যদি সিস্টোলিক চাপ ১৩০ বা তার বেশি, অথবা ডায়াস্টলিক চাপ ৮০ বা তার বেশি হয়, তাহলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। তবে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য তিন দিন পরপর মাপা উচিত।
ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আজকাল তরুণরাও হাই প্রেশারে ভুগছেন। তাই ২০ বছর বয়স পেরোলেই অন্তত একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত।
যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, ৩০ বছর পেরোলেই নিয়মিত মাপা শুরু করুন।
৩০ বছর থেকে প্রতি ৬ মাস অন্তর রক্তচাপ মাপা জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
সুতরাং, স্বাস্থ্য সচেতন হন। নির্দিষ্ট বয়স থেকেই নিয়মিত রক্তচাপ মাপা শুরু করুন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।