
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যেই তুরস্ক ও সিরিয়ার নতুন সরকার একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছে। দুই দেশ এখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় একসঙ্গে কাজ করছে। খবর শাফাক নিউজ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়া সংস্কার ও পুনর্গঠনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, “বাথ শাসন ও সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় দশ লাখ সিরিয়ান প্রাণ হারিয়েছে। এখন সেই অন্ধকার সময় পেরিয়ে আমরা নতুন সূচনার দিকে যাচ্ছি।”
তিনি জানান, তুরস্কের উদ্যোগে সিরিয়ার ওপর আরোপিত বহু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সিরিয়ার পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এরদোয়ানের ভাষায়, “সিরিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করা এখন আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।”
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত নুহ ইয়িলমাজ বলেন, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা মানে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা। তাই আমরা শান্তি ও পুনর্গঠনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। তিনি আরও জানান, সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য বর্তমানে তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যাতে দেশটির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজেন খালাফের মতে, তুরস্ক এখন সিরিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠিত হলে তুরস্কের আঞ্চলিক প্রভাবও আরও বৃদ্ধি পাবে।
মাজেন খালাফ আরও বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কার্যরত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (সিডিএফ)-এর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক এখন মুখোমুখি সংঘাতের পরিবর্তে সমন্বয়ের পথে। ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক ও আংকারা যৌথভাবে এমন এক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলতে পারে, যেখানে সিডিএফ বাহিনীরও অংশগ্রহণ থাকবে যা ভবিষ্যতে বিভক্তি ও সংঘাত হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।