সিলেটে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অবরোধের ৩ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
ওই বিক্ষোভ থেকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি জানান তারা। তবে পরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জে উপজেলার তুরুকবাগ এলাকার লেগুনাচালক ফখরুল ইসলাম বাচন (৪৩) মাইক্রোবাস ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এরপর সোমবার (২ অক্টোবর) আহত ওই ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শ্রমিকরা জানান, ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা হয়েছে জানিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করবে না বলে জানায়। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের আবেদন করে। এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া ওসি স্বাক্ষর দিতে পারবেন না জানালে এর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধের কারণে গোলাপগঞ্জের দুদিকে রাস্তায় হাজারও গাড়ি আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। পরে দুপুর ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা। সে বৈঠকে তাদের দাবি পূরণ হওয়ায় বিকেল ৩টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
সিলেটের এএসপি (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জে মাইক্রোবাস ধাক্কায় গুরুতর আহত হন উপজেলার তুরুকবাগ এলাকার লেগুনাচালক ফখরুল ইসলাম বাচন। এরপর সোমবার আহত ওই ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু শ্রমিকরা নিহত ব্যক্তির লাশ বিনা ময়নাতদন্তে নিতে চাইলে আমি দেইনি।
ওসি আরও বলেন, যেহেতু নিহতের স্ত্রী আবেদন করেননি তাই বাধা দিয়েছি। পরে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এরপর জন ভোগান্তির কথা চিন্তা করে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এসময় নিহত বাচনের স্ত্রী মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া নিতে আবেদন করবেন- এমন শর্তে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দেওয়া হবে জানালে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।