১ মিনিটের টর্নেডোয় তিন গ্রাম লণ্ডভণ্ড

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার দুটি এবং সালথা উপজেলার একটি গ্রাম এক মিনিটের টর্নেডোতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ টর্নেডোতে প্রায় শতাধিক ঘরাবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে এ তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ। টর্নেডোতে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় কয়েকশ পরিবারের সদস্য এখন বেশ কষ্টে দিনযাপন করছে। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসনের কর্তারা।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনতুন্দী গ্রামে আঘাত হানে টর্নেডো। এক মিনিটের এ টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয় ২১টি বসতঘর।
বল্লভদি ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে সোনাতন্দী গ্রামের ২১টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের থাকা ও খাবার-দাবারের কোনো ব্যবস্থা নাই। আমি আপাতত কিছু শুকনো খাবার দিয়েছি।
এদিকে, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কয়েক মিনিটের স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ৬টি গ্রামের শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ঝড়ে উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিনশতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ।
সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের ইউপি সদস্য মা. শরিফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই সারাদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি ছিল। বিকেলের দিকে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ২০ থেকে ৩০টি কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি গাছপালা ভেঙে উপড়ে ফেলে। এর আগে থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে দুই উপজেলার ছয়টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া কমপক্ষে তিনশতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।