দুর্গাপূজায় যতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ

সর্বশেষ
ফজর | |
জোহর | |
আসর | |
মাগরিব | |
ইশা | |
সূর্যোদয় | |
সূর্যাস্ত |
ইসলামের আভিধানিক অর্থ আনুগত্য, আত্মসমর্পণ, নিঃশর্ত হুকুম পালন। ইসলামের পারিভাষিক অর্থ হলো ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের বিধান। ইসলাম মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত জীবন যাপন পদ্ধতি। ইসলাম মানুষের সামগ্রিক জীবনের শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ।
মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি, কামিয়াবি ও সফলতা রেখেছেন একমাত্র ইসলামে দ্বীনের মধ্যে। মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। তোমার রব কে, তোমার নবী কে এবং তোমার দ্বীন কী?
ঈমানদাররা শুধুই কবরে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আমার রব আল্লাহ, নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং দ্বীন হলো ইসলাম। এখানে দ্বীন বলতে, আল্লাহর নির্দেশিত জীবনব্যবস্থা বা ইসলাম ধর্ম। আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং নবী করিম (সা.)কে অনুসরণ করার মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালা মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা রেখেছেন।
ইসলামকেই আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
কোরআনে ঘোষিত পূর্ণতা সব অপূর্ণতাকে নাকচ করে। সুতরাং মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করে যে ইসলাম তার আকিদা, ইবাদত, মুআমালাতসহ সব বিষয়ে পরিপূর্ণ। আর ইসলাম যেহেতু পরিপূর্ণ তাই এখানে নতুন উদ্ভাবিত কোনো বিষয় (বিদআত)-এর প্রয়োজন নেই। কেউ নতুন কিছু উদ্ভাবন করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট হুঁশিয়ারি হলো, ‘তোমরা (ধর্মে) প্রতিটি নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে সাবধান! কেননা প্রতিটি নবাবিষ্কার হলো বিদআত এবং প্রতিটি বিদআত হলো ভ্রষ্টতা।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭)।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠত্ব ও পূর্ণতার বিশ্বাসের সঙ্গে ইসলামের চিরন্তনতা, তার স্থায়িত্বের যুক্তি ও মহান আল্লাহ কর্তৃক তা সংরক্ষণের অঙ্গীকার জড়িত। কেননা অপূর্ণ কোনো শরিয়তকে কেয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জীবনবিধান মনোনীত করা মহান আল্লাহর মর্যাদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ইসলামী শরিয়তের প্রাণসত্তা পবিত্র কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার অঙ্গীকার হলো—‘আমিই কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আবশ্য আমিই তার সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৯)
টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদীর পাড়। পাহাড়ি ঢলে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে।
গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।