মাগুরা জেলায় আরডিসিএস গঠন ও পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত

সর্বশেষ
ফজর | |
জোহর | |
আসর | |
মাগরিব | |
ইশা | |
সূর্যোদয় | |
সূর্যাস্ত |
‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান’। জ্যৈষ্ঠের প্রখরতায় অভিমানী আকাশ একটু পরপরই গোমড়া মুখ করে কালো মেঘকে সালিশের জন্য ডেকে এনে অঝোর ধারায় কান্না করে। নিমিষেই শুরু হয়ে যায় মুষলধারায় বৃষ্টি! মাঝে মধ্যে যখন কালো মেঘ ব্যস্ত থাকে, আকাশ তখন গাল ফুলিয়ে একা একাই কাঁদতে বসে। তখন রোদ-বৃষ্টি দুটোই একসাথে দেখা যায়। ছোট বাচ্চারা ছড়া কাটে, ‘রোদ হয় বৃষ্টি হয় খেঁকশিয়ালের বিয়ে হয়।’ সূর্য্যি মামার সাথে আকাশের মান-অভিমান খেলার নীরব দর্শক মাটির পুতুলেরা ততক্ষণে বুঝে নেয় আকাশের সাথে গ্রীষ্মের প্রখরতা কমাতে নেমে পড়েছে আম, জাম, কাঁঠালসহ নানা ফল। তাদের ঘ্রাণে মুখরিত চারপাশ। ঠিক তার পরপরই আগমন ঘটে বর্ষার সঙ্গী কদম ফুলের। আর কদম বর্ষাকালের যেন আগমনী বার্তা।
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। গাছে গাছে দেখা মেলে পরিবেশের আরেক অতিথি কদম ফুলের। এই কদম ফুল ললনাপ্রিয়, সুরভী, কর্ণপূরক, বৃত্তপুষ্প নামেও পরিচিত। দেখতে বলের মতো গোল, সরু সবুজ পাতার ডালে ডালে গোলাকার মাংসল পুষ্পাধারে অজস্র সরু সরু ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাস আর পূর্ণ প্রস্ফুটিত মঞ্জুরির সাদা-হলুদে মেশানো রঙ কদমকে করেছে অনন্য।
কদম ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম: Neolamarckia cadamba. একটি সুপরিচিত ও প্রাচীন ফুল। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে কদম ফুল জন্মায়। এটি নদীর তীর, জলাভূমি ও সমতল ভূমিতে ভালো জন্মে। কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এর মৌসুম। বর্ষার প্রথম বৃষ্টির পরপরই কদম ফুটে উঠে।
কদম ফুল সাধারণত হালকা হলুদাভ বা সোনালি রঙের হয়। মাঝে মাঝে হালকা কমলা রঙও দেখা যায়। আকারে ছোট ছোট অসংখ্য ফুল একত্রিত হয়ে গোলাকৃতি বলের মতো আকার ধারণ করে। গন্ধ মৃদু, মধুর ও মনমুগ্ধকর সুবাস ছড়ায়। গাছ কদম গাছ সাধারণত সোজা ও দীর্ঘ হয়ে থাকে। পাতা বড়, ডিম্বাকার এবং গাঢ় সবুজ রঙের। ফল হিসেবে কদম মাংসল, টক তবে বাদুড় ও কাঠবিড়ালীর প্রিয় খাদ্য। আর ওরাই বীজ ছড়ানোর বাহন।
শীতে কদমের পাতা ঝরে আর যখন কচি পাতা গজায় তখন আগমন ঘটে বসন্ত কালের। কদমের গাছ থেকে যেমন জ্বরের ওষুধ তৈরি করা হয়, তেমনি এ গাছ দ্রæত বাড়ে, বিধায় একে জ্বালানি কাঠ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, একটা সিটের বিনিময়ে, ভালো রেজাল্টের বিনিময়ে নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েন না। আমরা এমন বাংলাদেশে আর ফিরে যেতে চাই না, যে বাংলাদেশে একটি স্ট্যাটাস দিলে রাতে সিনিয়ররা তা ডিলিট করে হল থেকে বের করার ঘটনা ঘটবে। আমরা এই জায়গায় সচেতন থাকবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমরা অন্যের মতকে সম্মান করবো।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে বৈষম্যবিরোধীর আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই সনদ কোনো কবিতা নয়। কোনো রাজনৈতিক রেটোরিক নয়। এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ। এটি দ্বিতীয় বাংলাদেশের একটি তফসিল। এই জুলাই সনদের ঘোষণা অবশ্যই দিতে হবে। ৩ আগস্ট আমরা ঢাকার শহিদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য মিলিত হবো। সরকার যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না দেয় তাহলে আমাদের আর পিছনে ফেরার সুযোগ নাই।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সংগঠনের উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জুলাই আন্দোলনে শহিদ সাব্বিরের পরিবার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল, গোলাম রব্বানী ও ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক উইংয়ের কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের জন্য গঠিত এই কমিটির সমন্বয়কারী করা হয়েছে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জিলানীকে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকিরের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটিতে ১০ জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী, ২৬ জনকে সংগঠক ও ৫২ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
যুগ্ম সমন্বয়কারীতে হলেন মো. মনসুর আলম, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ আজিজ মিয়া, রাজিব হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, কামাল হোসেন, শামীম হোসেন, আব্দুল আউয়াল ফয়সাল ও সাজিম রহমান।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে নিজেদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার সংস্কারকাজ করছেন একটি গ্রামের বাসিন্দারা। গত বুধবার থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে।গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে মুষ্টির চাল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তহবিল গঠন করা হয়েছে।
উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের ওই গ্রামের নাম কৃষ্ণপুরদীঘা। গ্রামটির ইক্ষু ক্রয়কেন্দ্র থেকে রাস্তাটি শুরু হয়ে মোমিনপুর গ্রামের প্রধান সড়কের সঙ্গে মিলেছে। মোমিনপুর-কৃষ্ণপুরদীঘা রাস্তাটি দিয়ে মোমিনপুর হাট, স্কুল-মাদ্রাসা ও কবরস্থানে যাতায়াত করেন কৃষ্ণপুরদীঘা, আসামপাড়া, মধ্যপাড়া, কবিরাজপাড়া ও মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও মুশকিল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারকাজ শুরুর দুদিন আগেও এ কাঁচা রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযোগী ছিল। চলতি বর্ষায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি কাদায় ভরে উঠেছিল। কাদায় ঢেকে থাকা খানা-খন্দে প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা। এমনকি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারে তেমন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এলাকার বাসিন্দারা অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিতে বেশ ভোগান্তিতে পোহাতে হয়। সম্প্রতি কৃষ্ণপুরদীঘা গ্রামের রুমা বেগম নামের এক গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন। খারাপ রাস্তার কারণে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বাসিন্দারা আলোচনার মাধ্যমে নিজেরাই রাস্তাটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য রাস্তা মেরামত তহবিলও গঠন করা হয়। তাঁরা গ্রামটির প্রতিটি বাড়ি থেকে চালের মুষ্টি তুলে তহবিলে জমা করেন। তবে অনেকে নগদ টাকাও জমা করেছেন। যাঁরা টাকা ও চাল দিতে পারেনি, তাঁরা শ্রম দিয়ে রাস্তা মেরামতে অংশ নিয়েছেন।
কৃষ্ণপুরদীঘা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, চার গ্রামের মানুষ মারা গেলে তাঁদের মরদেহ এই রাস্তা দিয়ে কবরস্থানে নেওয়া হয়। হাটবাজারে যাতায়াতের জন্যও রাস্তাটি একমাত্র ভরসা। অথচ প্রশাসন দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। তাই নিজেরাই সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হালিমা খাতুন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে যোগাযোগ করেও আমি রাস্তাটি পাকা করতে পারিনি। তাই গ্রামবাসীকে নিয়ে নিজেরাই রাস্তাটি সংস্কারে নেমেছি। আমরা আপাতত ইটভাটার পোড়া মাটি (সুরকি) এনে রাস্তায় ঢেলে রাস্তাটি যাতায়াত উপযোগী করছি।’
আরেক ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন বলেন, সংস্কারকাজে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। যাঁরা সরাসরি শ্রম দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য লোকজন খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াচ্ছেন।’
গ্রামবাসীর কাজে অভিভূত বলে জানিয়েছেন একই ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান আলী। তিনি জানান, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামবাসীর যেটুকু কাজ করছেন, তাতে তিনি অভিভূত। রাস্তাটি পাকা করার জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, তিনি রাস্তাটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। বিস্তারিত জেনে রাস্তাটি পাকা করার প্রকল্প নেওয়া হবে। তবে গ্রামবাসী যে কাজটি শুরু করেছেন, তা ধন্যবাদ পাওয়ার মতো।
জীবন যায় যাক, তবু যে অন্যায় ও বৈষম্য হচ্ছে, তার প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভূমিকা তুলে ধরেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি বলেছে, ওই সময় নেতা-কর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।
গত রাতের ঘটনার উল্লেখ করে জি এম কাদের এর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা ২ তারিখ (২ নভেম্বর, শনিবার) যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন।...আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কত লোক মারবেন ওনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ দিয়ে করো। মুখ দিয়ে না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো। আমাদের সেটা করতে হবে। তার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
“বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করি, সুন্দর সমাজ গড়ি”এ স্লোগানকে সামনে রেখে মাগুরায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সৈয়দ আতর আলী পাঠাগার মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি, মাগুরা জেলা শাখার
আয়োজনে, মাগুরা মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মাওলানা মো: আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মো: আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও প্রশাসক, মাগুরা পৌরসভা, মাগুরা। মো: এ.বি.এম নুর-উজ-জামান, জেলা রেজিস্ট্রার, মাগুরা। আলহাজ্ব মো: ইকবাল হোসাইন, নির্বাহী সভাপতি, বাংলাদেশ নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি, ঢাকা। আব্দুল আওয়াল, উপপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মাগুরা। আলহাজ্ব ডা: তাসুকুজ্জামান, গবেষক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সভাপতি, আব্দুল হক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মাগুরা। আলহাজ্ব মুস্তফা ওয়ালিউল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক, মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি, মাগুরা।
এসময় সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। দরিদ্রতা, অভাব অনটন, কুসংস্কার ও শিক্ষার অভাবে ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের বাল্যবিবাহের কারণে মেয়েদের জীবন বিভীষিকাময় হয়ে অন্ধকার নেমে আসে।
এতে করে মাতৃ মৃত্যু হার ও শিশুর মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। সেই সাথে কাজীরা যদি বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি না করে তাহলে অনেকাংশে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে মেয়েদেরকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার আলহাজ্ব কাজী ইস্রাফিল মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মাগুরা জেলার অন্তর্গত শত্রুজিৎ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি মুছাপুরী তার সততা নিষ্ঠা ভালোবাসা দিয়ে শত্রূজিৎপুর ইউনিয়নের মানুষের ভালোবাসায় অর্জন করে প্রশংসায় ভাসছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে ইউনিয়নের অশান্তি বিশৃঙ্খলা হানাহানি থেকে একান্তভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন ওসমান গনি মুছাপুরী। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে ছিলেন সব সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সার্বিক সহযোগিতাসহ নিরাপত্তার চাদরে রেখেছিলেন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে । চেয়ারম্যান জানান যতদিন এই পবিত্র দায়িত্ব আমার থাকবে ততদিন আমি ইউনিয়ন বাসির সার্বিক নিরাপত্তা দিব। যদি ইউনিয়নে কোন দুষ্কৃতিকারী বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে এটা আমি শক্ত হাতে দমন করব। পরিশেষে বলতে চাই ইউনিয়ান বাঁশি যদি আমাকে চাই অথবা আমি যদি কাহারো উপকার করতে পারি তাহলে আমি নির্বিঘ্নে কাজ করে যাব। তাই আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করি।
সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি অলাভজনক সায়ত্তশাসিত সংস্থা। সংস্থাটি দেশের ২০ টি জেলায় রেজিলিয়েন্স,অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ এন্ড লাইভলীহুড ইমপ্রুভমেন্ট ( আরইএলআই) প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অতিদরিদ্র,দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও যুব কর্ম সংস্থানে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সকাল ৯:৩০ ঘটিকার সময় মাগুরা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৪৮ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের মোট উপবৃত্তির ৭২,০০০ টাকার মধ্যে তিন কিস্তির একটি ২৪,০০০ টাকা করে সর্বমোট এগারো লক্ষ বায়ান্ন হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মাহামুদ হাসান জেলা ব্যবস্থাপক,এসডিএফ, মাগুরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব মোহাম্মদ কামাল বাসার এবং এসডিএফ প্রধান কার্যালয় থেকে আগত উপমহাব্যবস্থাপক (সংগঠন উন্নয়ন) জনাব মো: শহীদুল্লাহ । ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থী সহ আরো উপস্থিত ছিলেন এসডিএফ প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা কার্যালয়-এর কর্মকর্তা বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ শরফুদ্দীন সাগর, জেলা কর্মকর্তা (যুব ও কর্ম সংস্থান),এসডিএফ মাগুরা জেলা।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
মাগুরায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি মাগুরা শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম। মাগুরা শহরের সাতদোহা ন্যাংটা বাবার আশ্রম, জামরুলতলা পূজা মন্দির, ছানার বটতলা পূজা মন্ডপসহ বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।
এ বছর মাগুরা জেলায় সর্বমোট ৫৬১ টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে । আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মোট ২৫২ জন সদস্য এবং আনসারের মোট ৩ হাজার ৪৯৬ জন সদস্য জেলার পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
মাগুরা সদরের শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নে দুর্গাপুজায় নিরাপত্তা দায়িত্ব নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা।
বৃহঃপতিবার সকালে শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের মন্দির পর্যবেক্ষন করেন ১০ নং শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি মুছাপুরি ও ইসলামী আন্দোলনের সদস্যদেরা । বিজয়৭১ জানিয়েছেন তারা সারা রাত ভর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পাহারা দেবেন । যদি কোন দুষ্কৃতিকারী অপকর্ম করার চেষ্টা করলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা এটা শক্ত হাতে দমন করবে। চেয়াম্যান ওসমান গনি বলেন পুজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা সব সময় মাঠে আছে ও থাকবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শাখার সভাপতি ও হাফেজ মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “দলের প্রধানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও উপসনালয় পাহারা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাঙালি, সবাই ভাই ভাই।” পুজাকে কেন্দ্র করে কোন মহন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অপশক্তি চালালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা এটা মেনে নেবে না।
হাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে আজ (বুধবার) শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও ১২ অক্টোবর মহানবমী। এরপর ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।
মহা চণ্ডীতে উল্লেখ আছে, ত্রেতা যুগে ভগবান রাজা রাম চন্দ্র দশানন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে রত হন। পাপের বিনাশের লক্ষ্যে দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার কাছে শক্তি বৃদ্ধির আশায় শরৎকালে তার পূজা করেছিলেন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবী সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে হত্যা করতে সক্ষম হন রাম চন্দ্র। সেই থেকে পৃথিবীতে প্রতি বছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব পালন করে আসছেন।
এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। ওই পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে ফলাফল হয় মড়ক। দেবী দুর্গার ২০২৪ সালে মর্ত্যে আগমন যেহেতু দোলায় হচ্ছে, তার ফলাফল হতে পারে মড়ক। যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এছাড়াও দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়।
রামকৃষ্ণ মিশনের নির্ঘণ্টে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে সায়াংকালে দুর্গাদেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা বিকেল ৫টার পরে আরম্ভ হবে।
হারিকেন (ঘূর্ণিঝড়) মিল্টন আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। এখন এটি ক্যাটাগরি ফাইভ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। শক্তিশালী হওয়ার পর এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এনএইচসি বলছে, মিল্টন ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ২৮১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার ভোরে এটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পরিচালক কেন গ্রাহাম বলেছেন, মিল্টন রেকর্ড ভাঙা গতিতে ক্যাটাগরি ফাইভ হারিকেনে পরিণত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এর বাতাসের গতিবেগ ১৪৮ কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সামনে রেখে ফ্লোরিডিবাসীকে সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ প্রচেষ্টার জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। রাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যান্টিস সতর্ক করে বলেছেন, সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে এটি একটি দানব আকারে আঘাত হানতে চলেছে।
মাত্র ১০ দিন আগেই ভয়াবহ হারিকেন হেলেন দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ক্যাটরিনার পর থেকে মার্কিন মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় এটি। এতে অন্তত ২২৫ জন মানুষ নিহত হন। শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। শুধু ফ্লোরিডায় অন্তত ১৪ জন মারা গেছেন।
ওই হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। একইসঙ্গে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শত শত রাস্তা ডুবে যায়।