Message: Return type of CI_Session_files_driver::open($save_path, $name) should either be compatible with SessionHandlerInterface::open(string $path, string $name): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::close() should either be compatible with SessionHandlerInterface::close(): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::read($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::read(string $id): string|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::write($session_id, $session_data) should either be compatible with SessionHandlerInterface::write(string $id, string $data): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::destroy($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::destroy(string $id): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::gc($maxlifetime) should either be compatible with SessionHandlerInterface::gc(int $max_lifetime): int|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের পরিচালক এনামুল করিমের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান পর্যন্ত—সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রে এই কর্মকর্তা।
অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ক্ষতি সাধন থেকে শুরু করে শ্রমিক নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য—সব কিছুর সুত্রপাত নাকি এনামুল করিমকে ঘিরেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৮টি প্রধান প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে পরিবহন বিভাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই পণ্য ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং, জাহাজ ভেড়ানো, লাইসেন্স প্রদানসহ সব পরিবহন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হয়। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে এই বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আছেন এনামুল করিম। তবে বন্দরে যোগদানের পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ বিভাগে অবৈধ লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোটি টাকার অনিয়মে জড়িয়ে:
২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিপিং এজেন্ট মেসার্স ইউনিবেঙ্গল কনটেইনার ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্ত্বেও বিধি ভেঙে ছাড়পত্র দেন এনামুল। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষের ১০ কোটি টাকার বেশি পাওনা ঝুঁকিতে পড়ে। দুদক এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। তদন্ত কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, শিপিং এজেন্টের সঙ্গে যোগসাজশে এনামুল করিম বন্দরের মাশুল আত্মসাৎ করে নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন।
গত ৪ জুন দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় বন্দরের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এনামুল করিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রায় ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিস্তারিত নথি চেয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘রেকর্ডপত্র হাতে এসেছে, তদন্ত চলছে।’
রহস্যজনক তদন্ত প্রতিবেদন গায়েব:
২০১৯ সালে আরও ১১ কোটি টাকার অনিয়মে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে এনামুল করিমের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই সময়েও তাঁকে পদোন্নতির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করলেও প্রতিবেদন আজও জমা হয়নি।
বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতির মামলা চলছে—দুটি ঢাকায়, দুটি চট্টগ্রামে। সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরের অভিযোগ অনুযায়ী, এনামুল করিম ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। এর বড় অংশ আমেরিকা ও দেশে বেনামে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
শ্রমিক নিয়োগে টাকার খেলা:
অভিযোগ আছে, বন্দরে শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণও এনামুল করিমের হাতে। প্রতিটি নিয়োগে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। এ কাজে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বন্দর শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মীর নওশাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল চৌধুরী।
রাজনৈতিক পরিচয়ে রঙ বদল:
এনামুল করিম কখনো নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন, আবার কখনো জামায়াত–বিএনপির সমর্থক পরিচয়ে থাকেন। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়াতেই তিনি বছরের পর বছর দায়মুক্ত থেকে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফোনে পাওয়া গেল না; অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার এনামুল করিমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে তাঁর সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে-বাইরে এখন একটাই প্রশ্ন—এতসব অভিযোগের পরও কীভাবে টিকে আছেন এনামুল করিম? উত্তর খুঁজছে দুদক, অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
এআরই/নিউজটুডে
চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও আলোচনায় উঠলো হোটেল জামানকে ঘিরে জমি দখলের অভিযোগ। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কলামিস্ট ও গীতিকার লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নগরীর অলংকার জামান হোটেলের সামনে লিয়াকত হোসেন খোকনের পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লিয়াকত খোকনের মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, “জামান হোটেলের মালিক আমার বাবার কেনা জায়গা জবরদখলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। সংবাদ সম্মেলনের নামে তারা বাবার সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
এসময় লিয়াকতের বড় মেয়ে ডাক্তার মিথিলা আরো বলেন, “আমার বাবাকে ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বাবা কখনো কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না।রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত করার এই চেষ্টা সরাসরি মানহানি ও চরিত্রহননের শামিল।”
মানবন্ধনে থাকা লিয়াকাতে ভাই কামরুল হাসান সুজন বলেন, জামানের মালিক রা মুলত জায়গা দখল করে এই অবস্থায় এসেছে। তারা চট্টগ্রাম শহরের সব জায়গায় যেখানে তাদের শাখা আছে সেখানেই তারা জমির মালিকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করেছে। জামান গত ১৩ বছর ধরে এই জায়াগার উপর জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের কারনে এই তৈয়বীয়া টাওয়ারে আমরা ভাড়াটিয়া দিতে পারিনি বারংবার নানান ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন লিয়াকত খোকনের ভাই কামরুল হোসেন সুজন। তিনি দাবি করেন, হোটেল জামানের মালিকপক্ষ কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী মিয়ার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে লিয়াকত হোসেনকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীও উপস্থিত থেকে এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
হোটেল জামানের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।
হোটেল জামানের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারের মানববন্ধন
চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও আলোচনায় উঠলো হোটেল জামানকে ঘিরে জমি দখলের অভিযোগ। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কলামিস্ট ও গীতিকার লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নগরীর অলংকার জামান হোটেলের সামনে লিয়াকত হোসেন খোকনের পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লিয়াকত খোকনের মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, “জামান হোটেলের মালিক আমার বাবার কেনা জায়গা জবরদখলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। সংবাদ সম্মেলনের নামে তারা বাবার সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
এসময় লিয়াকতের বড় মেয়ে ডাক্তার মিথিলা আরো বলেন, “আমার বাবাকে ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বাবা কখনো কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না।রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত করার এই চেষ্টা সরাসরি মানহানি ও চরিত্রহননের শামিল।”
মানবন্ধনে থাকা লিয়াকাতে ভাই কামরুল হাসান সুজন বলেন, জামানের মালিক রা মুলত জায়গা দখল করে এই অবস্থায় এসেছে। তারা চট্টগ্রাম শহরের সব জায়গায় যেখানে তাদের শাখা আছে সেখানেই তারা জমির মালিকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করেছে। জামান গত ১৩ বছর ধরে এই জায়াগার উপর জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের কারনে এই তৈয়বীয়া টাওয়ারে আমরা ভাড়াটিয়া দিতে পারিনি বারংবার নানান ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন লিয়াকত খোকনের ভাই কামরুল হোসেন সুজন। তিনি দাবি করেন, হোটেল জামানের মালিকপক্ষ কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী মিয়ার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে লিয়াকত হোসেনকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীও উপস্থিত থেকে এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
একসময় ইউরিক অ্যাসিডকে শুধুই গেঁটে বাত বা জয়েন্টের ব্যথার জন্য দায়ী করা হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার জানাচ্ছে এটি শুধু হাড় নয়, হৃদ্যন্ত্রেরও মারাত্মক শত্রু। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন, তাদের মধ্যেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে অথচ তারা টেরই পান না। একসময় এটি হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
কীএইইউরিকঅ্যাসিড?
ইউরিক অ্যাসিড হচ্ছে একধরনের বর্জ্য উপাদান, যা শরীরে ‘পিউরিন’ নামে এক উপাদান ভাঙলে তৈরি হয়। পিউরিন পাওয়া যায় মূলত মাংস, সামুদ্রিক মাছ ও নির্দিষ্ট কিছু খাবারে। সাধারণত আমাদের কিডনি এই অ্যাসিড ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কখনো কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে বা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে পিউরিন গেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। তখন এটি রক্তে জমা হতে থাকে যাকে বলে হাইপারইউরিসেমিয়া।
হৃদ্রোগেরসঙ্গেকীসম্পর্ক?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে ধমনীতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি হয়। এতে ধমনী কড়াকড়ি হয়ে যায়, রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হৃদ্যন্ত্রে চাপ ফেলে এবং একসময় হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড ইনসুলিনরেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং মেটাবলিক সিনড্রোমের জন্য দায়ী—এই দুই-ই আবার হৃদ্রোগের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।
কেনবাড়েইউরিকঅ্যাসিড?
· অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া
· সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, কিডনি জাতীয় খাবার
· চিনি বা ফ্রুক্টোজযুক্ত পানীয় (সফট ড্রিংক, জুস ইত্যাদি)
· কম পানি পান করা
· দীর্ঘক্ষণ উপোস থাকা বা একসঙ্গে ভারী খাওয়া
· ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন
কীভাবেনিয়ন্ত্রণেরাখবেন?
· প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন
· সকালে খালি পেটে পানি পান করুন—কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে
· খাবারের পর হালকা হাঁটুন
· সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন
· কলা, পালং শাক, আলু, ডাবের পানি—এগুলোতে আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম
· লবণ ও চিনি কমিয়ে দিন খাদ্যতালিকা থেকে
· মানসিক চাপ কমাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন
চিকিৎসকরাযাবলছেন
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা আগে তেমন কোনো উপসর্গ দেয় না। হঠাৎ গেঁটে বাতের ব্যথা বা হাত-পায়ের অস্বস্তি দেখা দিলেও অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। ফলে হৃদ্যন্ত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব চুপিচুপি চলতেই থাকে।
নিয়মিত রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ একবার হার্টের ক্ষতি শুরু হলে তা সামলানো সহজ নয়।
ইউরিক অ্যাসিডকে যদি কেবল জয়েন্টের ব্যথার দোষী ভেবে ভুল করি, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের মতো ভয়ংকর বিপদকে সময় থাকতে ঠেকানো যাবে না। এটি এক নীরব ঘাতক, যার বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে এখনই—খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন আর নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে।
পর্যাপ্ত বিশ্রামেও ক্লান্তি? আয়রনের ঘাটতি হতে পারে
প্রতিদিনকার জীবনে কাজের চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব - সব সামলে চলতে গিয়ে শরীর ও মন দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের পরও যদি ক্লান্তি না কাটে, তবে এটি কেবল কাজের চাপ নাও হতে পারে, বরং শরীরের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। এমন একটি নীরব সমস্যা হলো আয়রনের ঘাটতি, যা দৈনন্দিন কর্মক্ষমতাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে।
আয়রনের ঘাটতি: এক নীরব সমস্যা
আয়রন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। এটি রক্তের প্রধান উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অপরিহার্য। হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে, যা আমাদের শারীরিক শক্তি ও সতেজতা বজায় রাখার জন্য অত্যাবশ্যক। শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, ফলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এতে দিনের পর দিন ক্লান্তি, অবসাদ, এবং কর্মস্পৃহা কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া বলা হয়।
ঘুম ও বিশ্রাম সত্ত্বেও ক্লান্তি: সমস্যা কোথায়?
অনেক সময় দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন এবং মানসিক চাপও কম; তবুও সারা দিন শরীর জড়োসড়ো থাকে, কোনো কিছুতেই মন বসে না। কারও কারও ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, সামান্য হাঁটাচলাতেই শ্বাসকষ্ট হওয়া, বা মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণগুলো প্রায়শই রক্তে আয়রনের ঘাটতির কারণে ঘটে থাকে।
শারীরিক ও মানসিক প্রভাব
আয়রনের ঘাটতি কেবল শারীরিক ক্লান্তিই আনে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছালে মনোযোগে ঘাটতি, ঘন ঘন মুড সুইং, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, এমনকি হতাশার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আয়রনের ঘাটতি আরও বাড়তে পারে, যা অনেক সময় মাইগ্রেনের মতো তীব্র মাথাব্যথার কারণ হয়।
আয়রনের ঘাটতির সাধারণ লক্ষণসমূহ:
* পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্ত লাগা
* ত্বক ফ্যাকাসে ও নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
* বুক ধড়ফড় করা বা ব্যথা অনুভব
* মাথা ঘোরা বা ভার লাগা
* মনোযোগে সমস্যা
* শরীরে শক্তির অভাব
* বারবার শ্বাসকষ্ট বা হাঁপ ধরা
সমাধান: সচেতনতা ও পুষ্টি
ঘন ঘন ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আয়রনের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। আয়রনের ঘাটতি ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ বা প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার:
* প্রাণীজ উৎস: লাল মাংস (বিফ, লিভার), ডিমের কুসুম।
* উদ্ভিজ্জ উৎস: পালং শাক ও অন্যান্য গাঢ় সবুজ শাকসবজি, ডাল, ছোলা, মসুর ডাল, শুকনো ফল (খেজুর, কিশমিশ)।
* অন্যান্য: চিঁড়া, কলা, আখের রস, আয়রন যুক্ত সিরিয়াল ও দুধ।
* শোষণে সহায়ক: ভিটামিন C যুক্ত খাবার (লেবু, কমলা, আমলকী) আয়রন শোষণে সাহায্য করে, তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি এগুলোও গ্রহণ করা উচিত।
মনে রাখবেন, ঘুম, বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকা সত্ত্বেও যদি ক্লান্তি আপনাকে কাবু করে রাখে, তবে তা অবহেলা করবেন না। ক্লান্তি আমাদের শরীরের নীরব সংকেত, যা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। নিজের শরীরের প্রতি সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অতীতে চোলাই মদ মামলায় গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর, এখন এনসিপির সংগঠক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গত ১৯ জুলাই পদযাত্রার প্রচারণাকালে হামলার শিকার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় সংগঠক তানভীর কাদের শিকদার অতীতে দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি এক সময় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলেও জানা গেছে।
এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় বাঁশখালী থানা সংলগ্ন ফরহাদ-নোমান ভবনের সামনে তানভীর কাদের শিকদার মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে তিনি আহত হন এবং মাথায় আঘাত পান। তানভীর কাদের শিকদার বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক জানান, পদযাত্রার প্রচারণা চলাকালে ঐদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং প্রতিবাদ করলে তানভীরকে মারধর করে। আহত তানভীর জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় প্রচারণার সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর অনুসারীরা এসে ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও তাকে মাথায় আঘাত করে।
তবে লেয়াকত আলী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং তার কোনো কর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, তাদের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল শেষে যার যার বাড়িতে ফিরে যান।
এর আগে এনসিপি নেতা নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাঁশখালীসহ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে ‘এনসিপির গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয় এবং পাটোয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এদিকে তানভীর কাদের শিকদারের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর রাঙামাটির কাউখালীতে ৯৭.২ লিটার চোলাই মদসহ অ্যাম্বুলেন্স থেকে আটক হন তানভীর কাদের শিকদার। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই (নি:) মো. আব্দুল মজিদ সরকার, তত্ত্বাবধানে ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন।
তানভীরের অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠনের সক্রিয় কর্মী থাকা ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের তথ্য সামনে আসায় তার ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন ও আলোচনা শুরু হয়েছে।
এআরই/নিউজটুডে
‘শাপলা’ প্রতীক না পেলেও এনসিপির সমাবেশে শাপলার প্রচারণা
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘শাপলা’ প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেওয়া হবে না। তবে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) এই প্রতীক না পাওয়ার পরও দলীয় কর্মসূচি ও সমাবেশেরে ব্যানারে বা লগোতে তা ব্যবহার করে যাচ্ছে, যা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
সম্প্রতি এনসিপির “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে শাপলা প্রতীক সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় প্রতীকটি।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শাপলা প্রতীককে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, “জাতীয় প্রতীক ও পতাকার মর্যাদা রক্ষায়” শাপলাকে প্রতীক তালিকায় না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে একাধিক দল এই প্রতীক চাইলেও তা দেয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় সূত্র জানায়, এনসিপি তাদের নিবন্ধন আবেদনে ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’—এই তিনটি প্রতীক প্রস্তাব করেছিল। শাপলা প্রতীক না পাওয়ায় দলটি ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে নাগরিক ঐক্যও ‘কেটলি’ প্রতীক পাওয়ার পর ‘শাপলা’ চাইতে নতুন আবেদন করেছে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার জানান, “আমরা ১৭ জুন প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করেছি। সেখানে প্রথম পছন্দ ‘শাপলা’, দ্বিতীয় ‘দোয়েল’ উল্লেখ করেছি।”
বর্তমানে ইসির তালিকায় ৬৯টি প্রতীক রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই তা ১০০-এর বেশি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও কমিশন সূত্র জানিয়েছে। সংশোধিত তালিকা আইনি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তবে প্রতীক তালিকায় না থাকা অবস্থায় শাপলা ব্যবহার করায় কমিশনের সিদ্ধান্তের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “প্রতীক বরাদ্দ না পেলেও প্রকাশ্যে তা ব্যবহার করা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের শামিল।”
আরেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেন, “শাপলা প্রতীক ব্যবহার রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে, যা ভবিষ্যতে আইনি বিতর্ক তৈরি করতে পারে।”
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পুলিশের লুট হওয়া বিদেশি পিস্তলসহ ১ জন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার ১১ জুলাই দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখ শুক্রবার মধ্যরাত ২ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী কর্তৃক মহেশখালী থানাধীন শাপলাপুরের জেএম ঘাট ঢালার মুখ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় অবস্থানরত ডাকাত সদস্যরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষিপ্তভাবে গহিন পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। এসময়, কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল ধাওয়া করে আব্দুল মান্নান প্রকাশ নুনাইয়া (৩২) নামক একজন ডাকাতকে পুলিশের লুট হওয়া ১ টি ৯ মি.মি বিদেশি পিস্তল, ১ টি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড তাজা গোলাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ডাকাত মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ডাকাতি কার্যক্রম রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। ডাকাতি রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পুলিশের লুট হওয়া বিদেশি পিস্তলসহ ১ জন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার ১১ জুলাই দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখ শুক্রবার মধ্যরাত ২ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী কর্তৃক মহেশখালী থানাধীন শাপলাপুরের জেএম ঘাট ঢালার মুখ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় অবস্থানরত ডাকাত সদস্যরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষিপ্তভাবে গহিন পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। এসময়, কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল ধাওয়া করে আব্দুল মান্নান প্রকাশ নুনাইয়া (৩২) নামক একজন ডাকাতকে পুলিশের লুট হওয়া ১ টি ৯ মি.মি বিদেশি পিস্তল, ১ টি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড তাজা গোলাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ডাকাত মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ডাকাতি কার্যক্রম রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। ডাকাতি রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাফুফে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা: মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু ৯ অক্টোবর
ফের সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনেও ভীড় দেখা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। তার আগে আজ সোমবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
দুপুরে বাফুফে ভবনে তফসিল ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন। বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে মেজবাহউদ্দিন ছাড়া আরও আছেন সুরাইয়া আখতার জাহান ও একেএম এহসানুর রহমান।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ শুরু ৯ অক্টোবর থেকে। নির্বাচনে আগ্রহীরা ৯,১০ ও ১২ অক্টোবর বাফুফে ভবন থেকে সকাল ১০টা বিকেল ৫ টার মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবেন মনোনয়ন পত্র। ১১ অক্টোবর পূজা উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি থাকায় সেদিন নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ।
বাফুফেতে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৪ সহ-সভাপতি ও ১৫ নির্বাহী সদস্য। এবারের বাফুফে নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১৩৩জন। ৮ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, ৫৮ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, প্রিমিয়ার লিগের ১০ ক্লাব, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ৫ ক্লাব, প্রথম বিভাগের ১৮ ক্লাব, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৮টি করে ক্লাব, নারী লিগের ৪ শীর্ষ দল, ৬ বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫ শিক্ষা বোর্ড। এ ছাড়া রেফারি, কোচেস অ্যাসোসিয়েশন ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভোট একটি করে রয়েছে।
এবার সভাপতি পদে ১ লাখ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৭৫ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ৫০ হাজার ও সদস্য পদে মনোনয়ন পত্রের মূল্য ২৫ হাজার।
বাফুফে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর দাখিল করতে হবে। তারপর দাখিলকৃত মনোনয়ন ১৬ অক্টোবর বিকেলে নির্বাচন কমিশন যাচাই বাছাই করবে। মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি থাকলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আপিল করতে হবে, ১৭ অক্টোবরের মধ্যে। ১৮ অক্টোবর নির্বাচনী আপিল কমিশন শুনানি করবে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশন ১৯ অক্টোবর সারা দিনের পাশাপাশি ২০ অক্টোবর দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে। ২০ অক্টোবর বিকেলে নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। এরপরই নির্ধারণ করবে ব্যালট।
বাফুফে সুত্রে জানা গেছে, ২৬ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সকালে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেদিনই দুপুর ২-৬ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।