Message: Return type of CI_Session_files_driver::open($save_path, $name) should either be compatible with SessionHandlerInterface::open(string $path, string $name): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::close() should either be compatible with SessionHandlerInterface::close(): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::read($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::read(string $id): string|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::write($session_id, $session_data) should either be compatible with SessionHandlerInterface::write(string $id, string $data): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::destroy($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::destroy(string $id): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::gc($maxlifetime) should either be compatible with SessionHandlerInterface::gc(int $max_lifetime): int|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
চলচ্চিত্র ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ রিপা, পাশে দাঁড়ালেন বর্ষা
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ পি এম
ঢালিউডের চিত্রনায়িকা রাজ রিপা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘ সাত বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নিজের স্বপ্নের সিনেমা ‘মুক্তি’ সম্পূর্ণ করতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
রিপা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন,“চার বছর ধরে ‘মুক্তি’ সিনেমার জন্য মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। সময় ও অর্থ দুইটাই নষ্ট হয়েছে। আমাকে নায়িকা বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে পরিচালক কেবল নিজের সুবিধা নিয়েছেন। আট বছরেও মুক্তি পাওয়া কোনো সিনেমা হয়নি। একলা সাত বছরের পথ পেরিয়েছি। ভালো-মন্দ অনেক কিছু দেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ, কাউকে ঠকাইনি, কারও কাছে ঋণী নই। খুব শিগগির সবাইকে ছেড়ে চলে যাব। এই ইন্ডাস্ট্রি আমার মতো বোকা মানুষের জন্য না।”
রিপার এই স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। তার এই কঠিন মুহূর্তে পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢালিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফিয়া নুসরাত বর্ষা। নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে রিপার পোস্টটি শেয়ার করে বর্ষা লেখেন,“স্বপ্ন মাটি চাপা দিও, কিন্তু এমন স্বপ্ন নয় যা এখনো জেগে আছে কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জীবনের সিদ্ধান্ত তোমারই নেওয়ার অধিকার আছে। যার কেউ নেই, তার জন্য আল্লাহ আছেন। মিডিয়ায় এমন অনেকেই আছে, যারা তোমার মতোই কঠিন জীবন পার করছে—তা তুমি আমি দুজনেই জানি। রঙিন দুনিয়ায় ভালো মনের, নরম মনের মেয়েরা খুব কমই টিকে থাকে। এখানে টিকে থাকার জন্য চামড়া শক্ত হতে হয়।”
বর্ষা আরও লেখেন, “তুমি ভালো করেই জানো, কী করলে কী হয়। নামাজ পড়ে আল্লাহকে বলো যেন তোমার মনে শান্তি আসে। হেরে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। নতুন করে শুরু করো, নতুন স্বপ্ন নিয়ে। বয়স তো বেশি হয়নি, সামনে অনেক সময় পড়ে আছে। নিজেকে গুছিয়ে নাও। তুমি বোকা হতে পারো, কিন্তু ব্যর্থ নও। ব্যর্থ সে, যে তোমার দেওয়া স্বপ্নের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি।”
রিপার পোস্টে ইতোমধ্যেই অনেক সহকর্মী ও ভক্তরা সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। ঢালিউডের তরুণ এই অভিনেত্রীর বিদায় সত্যিই সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটি বেদনার খবর।
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ পি এম
ধূমপান ও ভেপ এর ভয়াবহ ক্ষতি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান। সেখানে তিনি নিজের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ও তার ফলাফল শেয়ার করে ভক্তদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসের শুরুতে আরশ খান লেখেন স্কুল জীবনে ফ্লেক্স করতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। ১৯ বছর শেষ। আমার ফুসফুসও প্রায় শেষের দিকে। এখন ফ্লেক্স অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, সিগারেট ছাড়ার ইচ্ছা থেকে তিনি বিকল্প হিসেবে ভেপ ব্যবহার শুরু করেন। কিন্তু এতে উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। গত ১৯ বছরে ফুসফুসের যা ১২টা বেজেছিল, তার তিন গুণ ক্ষতি হয়েছে মাত্র ছয় মাসের ভেপিংয়ে।
সিগারেট বা ভেপ কোনোটিই ধূমপান ছাড়ার নিরাপদ উপায় নয়, এমনটাই বার্তায় বোঝাতে চেয়েছেন আরশ। তিনি লিখেছেন, বিশ্বাস করো, সুস্থ থাকার চেয়ে বড় ফ্লেক্স আর কিছু নেই। যারা ধূমপানকে নতুন অভ্যাস হিসেবে নিচ্ছে, দয়া করে বিরত থাকো।
তিনি আরও জানান, একজন ধূমপায়ী যদি বড় কোনো ক্ষত ছাড়া ধূমপান ছেড়ে দেন, তাহলে সাধারণত ফুসফুস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে ৯ মাস সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষতি এমন থাকে যা কখনই পুরোপুরি ঠিক হয় না।
স্ট্যাটাসের শেষ অংশে আরশ খান ধূমপান ও ভেপ উভয়কেই একেবারে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। লেখেন, ভেপের দ্বারা ফুসফুসে যে ক্ষতি হয়, তার কোনো চিকিৎসা নেই, কোনো ওষুধ নেই। ওই অংশ আজীবনের জন্য অকেজো হয়ে যায়।তার ভাষায়, সিগারেট এমন প্রেমিকা, যাকে ছাড়লে একদম ছাড়তেই হবে। সিগারেট ছাড়তে গিয়ে ভেপ নামক প্রেমিকাকে রিবাউন্ড বানানো যাবে না। ভাবিয়া করিও কাজ, আমার মতন করিয়া ভাবিও না।
এক সময় কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেন দীঘি
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪০ পি এম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের একটি হত্যা মামলায় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তারের পর থেকে তাকে ঘিরে নানা বিতর্ক ও আলোচনা তুঙ্গে। কখনও মামলার আপডেট, কখনও তার ব্যক্তিগত জীবনের গোপন তথ্য, আবার কখনও চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সঙ্গে তার অতীত সম্পর্ক সবই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
একসময় নেটিজেনদের একাংশ ধরে নিয়েছিলেন, শিগগিরই দীঘি ও আফ্রিদির বিয়ের খবর আসবে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। আফ্রিদির স্ত্রী অন্য কেউ এবং সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। ফলে পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৌহিদ আফ্রিদি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। জানিয়েছেন, বর্তমানে আফ্রিদির সঙ্গে তার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই।
আফ্রিদির সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে দীঘি বলেন,"মাই টিভির একটি প্রোগ্রামে সে অ্যাংকর ছিল। সেখানেই প্রথম দেখা। তারপর বিষয়টা হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা কেউই ভাবিনি, এতটা ছড়িয়ে পড়বে।"
তৌহিদ আফ্রিদি তাকে বয়ফ্রেন্ড হিসেবে দাবি করতেন এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে দীঘির ভাষ্য,"আমি কখনও এমন কিছু বলিনি। আর ও তো এই ব্যাপারে আরও বেশি স্ট্রিক্ট ছিল। একটা সময় ছিল, যখন বিষয়টা অনেক বেড়ে যায়।"
আমাদের পরিবারও খুব অস্বস্তিতে পড়েছিল। কারণ, আমরা নিজেরাই জানি না এমন কিছু নিয়ে কেন এত আলোচনা হবে? এমনও একটা সময় এসেছিল, যখন এক থেকে দেড় বছর আমরা আর কথা বলিনি; দেখা করাও বন্ধ করে দিই,বলেছেন দীঘি।
চলে গেলেন বলিউড ও মারাঠি অভিনেতা আশীষ বরাং
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০১ পি এম
প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা আশীষ বরাং আর নেই। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তার মৃত্যু হয়, যদিও এর কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তার ভাই অভিজিৎ বরাং এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আশীষ বরাং হিন্দি ও মারাঠি ভাষার বহু জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাকে শেষ দেখা গেছে রোহিত শেঠির 'সূর্যবংশী' ছবিতে। এছাড়া 'মার্দানি', 'সিম্বা', 'সার্কাস', এবং 'এক ভিলেন রিটার্নস' এর মতো সিনেমাগুলোতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের কাছে ভীষণ প্রিয় ছিল।
অভিনয় জীবনে তিনি অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, রানি মুখার্জি, অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমারসহ অনেক জনপ্রিয় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সালমান শাহকে স্মরণ করলেন শাকিব খান
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৬ পি এম
কিংবদন্তি অভিনেতা সালমান শাহকে শ্রদ্ধা জানালেন বর্তমান সময়ের সুপারস্টার শাকিব খান। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মসের ফেসবুক পেজে সালমান শাহর একটি কোলাজ ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'স্মরণে অমর নায়ক সালমান শাহ'।
পরে শাকিব খান ছবিটি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'শান্তিতে থাকুন আমাদের অমর নায়ক সালমান শাহ।'
এই পোস্টটি দেখে সালমান শাহর ভক্তরা মন্তব্যের ঘরে তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানান। একজন ভক্ত লিখেছেন যে তার জন্মের আগেই সালমান শাহ মারা গেলেও তিনি তার 'বিগ ফ্যান'। আরেকজন তার জন্য দোয়া করে লেখেন, 'উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুক আমিন।'
আরেক ভক্তের মন্তব্যে ফুটে উঠেছে সালমান শাহর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা। তিনি লেখেন, 'প্রতিটি ভক্তের হৃদয়জুড়ে থাকবেন সেই প্রিয় অমর নায়ক সালমান শাহ।' অন্য একজন মন্তব্যে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে কোটি ভক্ত আজও শোকাহত। তবে শাকিব খানের এই পোস্টটি এবং ভক্তদের মন্তব্য প্রমাণ করে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সালমান শাহ এখনো সবার হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী, ফরিদা পারভীন আইসিইউতে
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ পি এম
ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। তাঁর শরীর বর্তমানে এতটাই দুর্বল যে উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই; চলাফেরাও করতে পারেন না। তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তিনি চরম শারীরিক দুর্বলতা ও অসুস্থতার মধ্যে দিন পার করছেন। সবাইকে তাঁর জন্য দোয়া করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিডনির সমস্যার পাশাপাশি ফরিদা পারভীনের রয়েছে ফুসফুসের অসুস্থতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডজনিত জটিলতা। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সংগীতজগতে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছ থেকে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠেন লালনগীতির এক জীবন্ত কিংবদন্তি।
সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন লাভ করেন একুশে পদক। নতুন প্রজন্মকে লালনের দর্শন ও সংগীত শেখাতে তিনি গড়ে তোলেন ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামের প্রতিষ্ঠান।
মা ও অভিনেত্রী, দুই ভূমিকায় আলিয়া ভাট
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ পি এম
বলিউডের ব্যস্ততম তারকাদের একজন আলিয়া ভাট বর্তমানে জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় পার করছেন। একদিকে তিনি ক্যামেরার সামনে নিজেকে প্রমাণ করছেন শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে, অন্যদিকে মা হিসেবে কন্যা রাহার শৈশবকে গড়ে তুলছেন পরম মমতায়। ক্যারিয়ার ও মাতৃত্ব, এই দুটি ভিন্ন দায়িত্বকে সমানভাবে সামলে আলিয়া হয়ে উঠেছেন আধুনিক নারীর এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, মেয়ের জন্মের পর আলিয়া তার জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন। রাহার যত্ন নিতে তিনি বেশ কিছু সময় অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে এখন পেশাগত জীবনে তিনি আবারও সক্রিয় হয়েছেন। এই ব্যস্ত সময়ে স্বামী রণবীর কাপুরের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আলিয়া বলেন, ‘মেয়ের জন্মের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ওকে কখনো একা রাখা হবে না। কখনো আমি, কখনো রণবীর, আমরা পালা করে ওর সঙ্গে থাকি। যার কাজ থাকে, অন্যজন ছুটি নেয়। রাহার সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা চেষ্টা করি দিনের বেশিরভাগ সময় রাহার সঙ্গে থাকতে। তবে রাহাও এখন বেশ ব্যস্ত। তার বিভিন্ন ক্লাস থাকে, দাদু-দিদার কাছে যায়, খেলাধুলা করে। পরিবার এবং সহকারীরা যে পরিমাণ সহযোগিতা করছে, তা না হলে এই সব কিছু একসঙ্গে সামলানো সম্ভব হতো না।’
বর্তমানে আলিয়া ও রণবীর দু’জনেই ব্যস্ত রয়েছেন তাদের নতুন ছবি ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ এর শুটিং নিয়ে। রাতের দৃশ্য ধারণ হওয়ায় তাদের রাতের সময়টা শুটিংয়ে কেটে যাচ্ছে। তবু সন্তান ও কাজের মাঝে ভারসাম্য রাখার এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
ভেঙে যাচ্ছে মোনালি ঠাকুরের তিন বছরের সংসার
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পি এম
গ্ল্যামার জগতের তারকাদের সম্পর্ক অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়। ভারতীয় গায়িকা মোনালি ঠাকুরের ক্ষেত্রেও হয়তো সেটাই সত্যি হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের রেস্তোরাঁ-মালিক মাইক রিচটারের সঙ্গে তার সংসার ভেঙে যাচ্ছে।
২০২০ সালে মোনালি প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি তিন বছর আগেই মাইককে বিয়ে করেছেন। কিন্তু তাদের এই দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্ক নাকি এখন জটিলতার মুখে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি মোনালির মা মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের সম্পর্কে আরও বেশি ফাটল ধরেছে।
তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছু বছর ধরে তাদের সম্পর্কের অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এখন আর তাদের নিয়ে কেউ কথা বলে না। খুব শীঘ্রই তাদের বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
এরই মধ্যে মোনালি ইনস্টাগ্রামে তার স্বামী মাইককে আনফলো করে দিয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ। উল্লেখ্য, মোনালি ও মাইকের পরিচয় হয়েছিল একটি ট্রিপে, সেখান থেকে তাদের প্রেম হয় এবং তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
হলুদ সাংবাদিকতা এবং কিছু কথা “এম নজরুল ইসলাম খান ”
সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়ে থাকে আর সাংবাদিক হচ্ছেন জাতির বিবেক। সাংবাদিকতা শুধু পেশাই নয় এটি একটি মহান ব্রত বা শিক্ষকতার সাথে এই পেশার সাদৃশ্যতা অতি সুনিবিড়। একজন শিক্ষক তাঁর ছাত্রকে যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন সাংবাদিকতায় যারা নিয়োজিত তারা জাতির দিকনির্দেশক হিসেবেও কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা পেশা শুধু পেশায় নয় এটি একটি মহান ব্রত। তবে সবচেয়ে সব সাংবাদিক যে মহান কাজ করে বা করছে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, এমনও সাংবাদিক আছেন যারা জাতির বা দেশের ক্ষতি করছেন। প্রতিদিন যেসব ফেইক নিউজ, গুজব, হলুদ সাংবাদিকতা দেখতে হচ্ছে তা দেশের জন্য, মানুষের জন্য চরম ক্ষতিকর।
হলুদ সাংবাদিকতা হলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন, চাঞ্চল্যকর ও রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন করা, যা মূল উদ্দেশ্য থাকে পত্রিকার বিক্রি বা দর্শকসংখ্যা বাড়ানো, সাংবাদিকতার নৈতিকতা বজায় রাখা নয়। এই ধরনের সাংবাদিকতায় তথ্য যাচাই না করে বা ভালোভাবে গবেষণা না করেই আকর্ষণীয় শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয় এবং সাধারণ ঘটনাকেও অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়।
সাংবাদিকতা সমাজের দর্পণ। সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সঠিকভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করাই সাংবাদিকতার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জ্ঞান, তথ্য ও সচেতনতা লাভ করে। তবে দুঃখজনকভাবে, সাংবাদিকতার মহান পেশাটি আজ নানা কারণে কলুষিত হচ্ছে। বিশেষ করে হলুদ সাংবাদিকতা সমাজে সত্য বিকৃত করছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং সাংবাদিকতার প্রতি আস্থা নষ্ট করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্র বা মিডিয়ার লোগো ব্যবহার করে ফেক নিউজ অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তথা ফেসবুকে যে সকল সংবাদ আমরা পেয়ে থাকি তার অধিকাংশই ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তিকর ও গুজব এ বিষয়ে আমাদের অত্যন্ত দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে
হলুদ সাংবাদিকতার উৎপত্তি
“হলুদ সাংবাদিকতা” (Yellow Journalism) শব্দটির উৎপত্তি উনিশ শতকের শেষ ভাগে আমেরিকায়। নিউ ইয়র্কের দুটি দৈনিক— New York World ও New York Journal—পত্রিকার মধ্যে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার ফলে তারা অতিরঞ্জিত, কৌতুকপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করতে শুরু করে। সেখান থেকেই “হলুদ সাংবাদিকতা” শব্দটি জনপ্রিয় হয়।অতিরঞ্জন ও রঙচঙে শিরোনাম – পাঠকের চোখে লাগানোর জন্য খবরকে অতি নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন।
গুজব বা যাচাইবিহীন তথ্য প্রকাশ – সত্যতা যাচাই না করে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনধিকার চর্চা – গোপন তথ্য ফাঁস করে চরিত্রহনন।
সংবেদনশীলতা উসকে দেওয়া – অশ্লীল ছবি, অপরাধ ও কেলেঙ্কারির খবরকে অতিমাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া।
সেন্সেশনালিজম বা চমকপ্রদ উপস্থাপন – মূল সত্যকে আড়াল করে রসালো দিকটিকে বড় করে দেখানো।
সমাজে হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাবে
অস্থিরতা সৃষ্টি : যাচাইবিহীন খবর সমাজে গুজব ছড়িয়ে দেয়, যা সংঘর্ষ বা আতঙ্ক ডেকে আনে।
নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে সমাজের, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে মর্যাদা হানির কারণ হয়।
গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে, সঠিক তথ্য না পেলে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
সাংবাদিকতার মর্যাদা হ্রাস পাচ্ছে,পেশাদার সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের উপায়:
পেশাগত প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহি : সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও আচরণবিধি প্রয়োগ।
গণমাধ্যম নীতিমালা কার্যকর করা : রাষ্ট্রীয়ভাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং ন্যায়সংগত নীতিমালা প্রয়োগ করে সঠিক সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা।
পাঠকের সচেতনতা বৃদ্ধি : হলুদ সাংবাদিকতার ফাঁদে না পড়তে সাধারণ পাঠককে সচেতন হতে হবে।
সাংবাদিকতা এক মহৎ পেশা। এর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র আলোকিত হয়, সত্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতা সেই আলোককে আড়াল করে অন্ধকার ছড়ায়। তাই সাংবাদিকদের উচিত পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা। সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা তার মর্যাদা ও আস্থা পুনরুদ্ধার করতে করতেই হবে নতুবা সাংবাদিকতা পেশা মানুষের বিশ্বাস আস্থা হারাবে।
সংগ্রহক; লেখক : সাংবাদিক ও শিক্ষক
ডব্লিউএইচও’র রিপোর্ট, আত্মহত্যার হার কমলেও উদ্বেগ-হতাশায় আক্রান্ত বাড়ছে ভয়াবহ হারে
অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ :
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২৯ পি এম
বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০০ জন মৃত্যুর মধ্যে এক জন মারা যায় আত্মহত্যায়, যা তরুণদের মধ্যে বাড়তে থাকা মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের ভয়াবহ বাস্তবতা প্রকাশ করছে।
অনেক দেশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নীতি ও কর্মসূচি শক্তিশালী করলেও, মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী আরও ব্যাপক বিনিয়োগ ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭ লাখ ২৭ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সংস্থার অ-সংক্রামক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেভোরা কেস্টেল জানান, প্রতি একটি আত্মহত্যার পেছনে প্রায় ২০টি আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটে। এসব ঘটনা শুধু ব্যক্তির জীবনকে শেষ করে না, বরং অসংখ্য পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদেরও গভীর বেদনার মাঝে ফেলে।
আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষ করে তরুণ নারীদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। ২০২১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মৃত্যুর মধ্যে আত্মহত্যা ছিল দ্বিতীয় প্রধান কারণ, আর একই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি তৃতীয় প্রধান মৃত্যু কারণ।
২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার ৩৫ শতাংশ কমলেও, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও অনেক দূরে বিশ্ব। ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আত্মহত্যার হার এক-তৃতীয়াংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী মাত্র ১২ শতাংশই পূরণ সম্ভব হবে।
আঞ্চলিকভাবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আত্মহত্যার হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য সব অঞ্চলে কিছুটা হ্রাস হলেও, বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ঘটনা ঘটে নিম্ন আয়ের দেশে, যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ বসবাস করে।
ডব্লিউএইচও আরো সতর্ক করে বলেছে, যদিও আত্মহত্যার হার ধীরে ধীরে কমছে, কিন্তু উদ্বেগ ও হতাশাসহ মানসিক রোগের প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির তুলনায় অনেক দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ভোগ করছে।
তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংকট আরও তীব্র হচ্ছে, যার পেছনে প্রধান দুটি কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং কোভিড-১৯ মহামারিকে ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মার্ক ভ্যান ওমেরেন উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ এখনো অপ্রতুল ও স্থবির। ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হচ্ছে, যা গত বছরেও অপরিবর্তিত ছিল। এর ফলে হতাশায় আক্রান্ত মাত্র ৯ শতাংশ মানুষই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার এখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।”
সংগীত জন্মায় মাটির ভেতর থেকে, প্রমাণ করল ধুয়ার গানের দল
বিনোদন ডেস্কপ্রকাশ :
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পি এম
টাঙ্গাইলের মাটির ঢেউ আর জামালপুরের সীমানার কাছাকাছি, গ্রামবাংলার ধুলোমাখা পথ পেরিয়ে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে এক অনন্য গানের দল, ধুয়ার গানের দল। নামেই তাদের পরিচয়‘গানের দল’, কিন্তু এই পরিচয় দিয়েই তাদের শিল্পের গভীরতা বোঝানো কঠিন।
একবার কল্পনা করুন গ্রামের উঠোনে নারী-পুরুষ একসঙ্গে বৃত্তাকারে ঘুরছে, হাতে হাত, পায়ে তাল, মুখে সুর। ধুলোমাখা সেই উঠোনেই তারা গড়ে তুলছে এক ঐতিহ্যের মঞ্চ যেখানে গায়ক আর দর্শক, শিল্প আর শ্রোতা একাকার। এটি শুধু গান নয় এ এক জীবিত সংস্কৃতি, এক আত্মিক উত্তরাধিকার।
এই গল্প হয়তো সেখানেই চাপা পড়ে থাকত, যদি না সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী হঠাৎ একদিন বাবার পাঠানো ভিডিওতে তাদের না দেখতেন। সাদামাটা এক দৃশ্য, কিন্তু তাতে ছিল এক অপরূপ সত্য গান এমনও হতে পারে! মঞ্চের আলো কিংবা প্রোডাকশন ডিজাইনের বাইরেও যে সংগীত জীবন্ত হতে পারে, তা যেন হঠাৎ করে ধাক্কা দিল ইমনকে।
তিনি তখন খুঁজতে গেলেন দলটিকে। টাঙ্গাইলে গিয়ে খোঁজ পেলেন তারা মূলত পেশাদার গায়ক নয়, ইটভাটার শ্রমিক। দিনে আগুন আর ধোঁয়ার সঙ্গে লড়াই, রাতে সুর আর তাল নিয়ে বেঁচে থাকা। কোক স্টুডিও বাংলার আমন্ত্রণ প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল তাদের কাছে। ইমন ধীরে ধীরে বোঝালেন, দেখালেন আগের সিজনের ভিডিও, তবু তাদের দ্বিধা কাটছিল না।
শেষমেশ, ঢাকায় নিয়ে এলেন সবাইকে। দিনভর গল্প, গান, আড্ডা। এরপর ইমন বাজালেন জালাল উদ্দীন খাঁর লেখা ‘আসমানে তোর ছায়ারে কন্যা’। বললেন, “এটাকে তোমাদের মতো করে গাও।”
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন সবাই সেই সুর যেন কয়েক মুহূর্তেই হয়ে উঠল তাদের আত্মার অংশ। প্রথমবার রেকর্ড হয়নি। কিন্তু পরে যখন তারা আবার এল, তখন যে গান তুলে ধরল, তা ইমনের কল্পনারও সীমানা পেরিয়ে গেল।
ওই শ্রমিকেরা তখন আর শুধু গায়ক নয় তারা হয়ে উঠল একটি জীবন্ত ঐতিহ্যের দূত। আর ধুয়ার গানের দল প্র্রথম বারের মত পা রাখল ঢাকার ঝলমলে স্টুডিওতে। তারা এসেছিল খ্যাতির জন্য নয়, এসেছিল তাদের পূর্বপুরুষের সুরকে সম্মান জানাতে।
মঞ্চে ওঠার দিনটি ছিল এক নতুন ভোরের মতো। আলোয় ভরা স্টেজে তারা যেন নিয়ে এসেছিল টাঙ্গাইলের মাটির গন্ধ, গ্রামের উঠোনের ধুলো, কষ্টের ঘামের গন্ধ, আর এক আদি সুরের আবেদন। তাদের কণ্ঠে উঠে এল অমসৃণ অথচ মোহময় সুর যেখানে নিখুঁত হওয়ার চেয়ে সত্য হওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
গান ছিল যেন ধূপের মতো, ধীরে ধীরে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল, আর হৃদয়ের গভীরে বেজে উঠছিল এক প্রাচীন কম্পন। মনে হচ্ছিল, এই সুর মাটির ভেতর থেকে উঠে এসেছে, ধুলোর ফাঁকে বেঁচে থাকা মানুষের ভেতর থেকে।
এই সত্য আরও একবার নতুন করে ধরা দিল যখন কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ৩ শুরু হলো গান ‘বাজি’ দিয়ে। সেই একই ধুয়ার গানের দল এবার মঞ্চে উঠল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মারমা, বাওম আর মণিপুরী শিল্পীদের পাশে। আর তখন গান হয়ে উঠল একটি সেতু আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের মাঝখানে।
আজ টাঙ্গাইলের সীমা পেরিয়ে তাদের কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সারা দেশে। তারা যেন প্রমাণ করে দিয়েছে, সংগীত শুধু প্রযুক্তির জিনিস নয়, এটা মাটি, মানুষ আর ভাগ করে নেওয়া অভিজ্ঞতার এক সংহতি। ধুয়ার গানের দল আমাদের মনে করিয়ে দেয় গান শুধু শোনা যায় না, অনুভব করা যায়।
এদের গান সেই উঠোনের মতো খোলা, ধুলোয় ভরা, অথচ আশ্চর্য রকম সত্য।
সহজভাবে বললে, স্কেলিং হলো দাঁতের গোড়া ও মাড়ির কাছের জমে থাকা ময়লা, পাথর ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কারের প্রক্রিয়া। এটি দন্তচিকিৎসকরা মাড়ির কিছু রোগের চিকিৎসা হিসেবে পরামর্শ দেন। স্কেলিং শল্যচিকিৎসা নয়, বরং বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে দাঁত পরিষ্কার করার পদ্ধতি। তবে, যদি স্কেলিং না করা হয়, দাঁতের সমস্যাগুলো আরও বাড়তে পারে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
স্কেলিংয়ের সুবিধা:
দাঁতের ময়লা ও পাথর পরিষ্কার হয়: স্কেলিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা ও পাথর পরিষ্কার হয়, যা দাঁতকে সুন্দর ও সুস্থ রাখে।
মাড়ি ব্যথা ও রক্ত পড়া কমে যায়: স্কেলিং মাড়ির ব্যথা কমায় এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে।
মাড়ির ক্ষয় রোধ হয়: স্কেলিং মাড়ির ক্ষয় থেকে রক্ষা করে, যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মুখের দুর্গন্ধ কমে আসে: স্কেলিং করলে মুখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া কমে যায়, যার ফলে মুখের দুর্গন্ধও কমে আসে।
মাড়ির ফোলা কমে যায়: স্কেলিংয়ের পর মাড়ির ফোলাভাবও কমে, ফলে দাঁতের গোড়া বেশি দৃশ্যমান হতে পারে।
স্কেলিং করানোর পর কিছু ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে, কিন্তু এটি সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ঠান্ডা বা গরম খাবার খাওয়ার সময় অতিসংবেদনশীলতা হতে পারে, তবে এটি সাধারণত এক মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
স্কেলিং না করালে কী হয়:
স্কেলিং না করালে দাঁতে জমে থাকা ময়লা ও পাথর থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এর ফলে দাঁত ও মাড়িতে ব্যথা, দুর্গন্ধ, ক্ষয় ও দাঁত পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা না করালে এসব সমস্যা আরও মারাত্মক হতে পারে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
যদি স্কেলিং প্রয়োজন হয়, তবে দন্তবিশেষজ্ঞের পরামর্শে দ্রুত এটি করানো উচিত। স্কেলিংয়ের পর নিয়মিত দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিলে সমস্যাগুলো পুনরায় ফিরে আসবে না।
গ্ল্যামার এবং প্রতিভার সমন্বয়ে প্রতিনিয়ত নতুন সাফল্যের মাইলফলক তৈরি করছেন পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির।
ক্যারিয়ারের একের পর এক অর্জনে আলোকিত হানিয়া, সম্প্রতি আইএমডিবি প্রকাশিত ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে পাকিস্তানের জন্য গৌরবের মুহূর্ত বয়ে এনেছেন। এই সাফল্যের মাঝেই তার সাম্প্রতিক লুক সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং ভক্তদের মুগ্ধতা আকর্ষণ করেছে।
হানিয়া তার ইনস্টাগ্রামে তিনটি ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি এক নতুন গ্ল্যামারাস লুকে ধরা দিয়েছেন। ঝলমলে গাঢ় মেরুন শেডের লং গাউন পরিধানে, কাঁধে প্যাড-স্টাইল ডিজাইন এবং শরীরের সঙ্গে মানানসই ফিট কাটের পোশাকটি তাকে এক ভিন্ন মাত্রার আভিজাত্য দিয়েছে। তার চুলের স্টাইলেও ছিল ভিন্নতা, হালকা কার্ল করা খোলা চুল এবং উজ্জ্বল মেকআপে পুরো লুকটি ছিল একদম স্টাইলিশ। এমন পোজে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের মন জয় করতে সফল হয়েছেন।
জুলাই মাসে মোহিত সুরির ব্লকবাস্টার ছবি সাইয়ারা মুক্তির পর ভারতীয় বক্স অফিস যেন পুরোপুরি দখলে ছিল সেই ছবির। তখন অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এত সহজে আর কোনো ছবি হয়তো তার অবস্থান টলাতে পারবে না। কিন্তু রজনীকান্ত যেন মঞ্চে প্রবেশের জন্য একটু অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে ১৪ আগস্ট মুক্তি পায় তাঁর বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা কুলি, যা মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৫০১ কোটি রুপি!
চলতি বছরে ছাবা ও সাইয়ারা এর পর কুলি তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে ৫০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করল। সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়লেও দর্শকপ্রিয়তায় ছবিটি কোনো ঘাটতি রাখেনি। ভারতে এ পর্যন্ত সিনেমাটির নেট আয় দাঁড়িয়েছে ২৬৮.৭৫ কোটি রুপি। যদিও ১৪তম দিনে আয় নেমে আসে মাত্র সাড়ে ৪ কোটিতে, তবুও সিনেমাটি ধীরে ধীরে ৩০০ কোটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিটি শুরু থেকেই দারুণ সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে প্রথম সপ্তাহেই রেকর্ড আয় করে কুলি। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৮২ কোটি রুপি (২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
কুলি ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে মণি রত্নমের পন্নিইন সেলভান,পার্ট ১ এর মোট আয় (৪৮৮ কোটি রুপি)। বর্তমানে ছবিটি সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমার শীর্ষ ২৫ এর মধ্যে রয়েছে এবং দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ইতিমধ্যেই শীর্ষ ১০ এ জায়গা করে নিয়েছে। পরবর্তী লক্ষ্য, সাইয়ারা (৫৬৮ কোটি), পদ্মাবত (৫৮৫ কোটি) ও সঞ্জু (৫৮৮ কোটি) র আয় ছাড়িয়ে শীর্ষ ২০ এ প্রবেশ করা।
অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী কুলি ছবিতে রজনীকান্তকে দেখা গেছে একজন অবসরপ্রাপ্ত কুলি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতার চরিত্রে। বন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি জড়িয়ে পড়েন একটি অপরাধচক্রের সঙ্গে।
ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন নাগার্জুনা, শ্রুতি হাসান, সৌবিন শাহির, এবং অতিথি চরিত্রে উপেন্দ্র ও আমির খান।
দর্শকদের মধ্যে ছবিটি জনপ্রিয়তা পেলেও, সমালোচকদের অনেকেই ছবির চিত্রনাট্য ও নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরিচালক লোকেশ কঙ্গরাজের পূর্বের কাজের তুলনায় এই সিনেমাটিকে দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে রজনীকান্তের ক্যারিশমা, অ্যাকশন ও স্টাইলের জন্য তারা প্রশংসা করেছেন।
টিজার মুক্তির এক সপ্তাহ পর সংগীত পরিচালক ইলইয়ারাজা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান। তাঁর অভিযোগ, ‘থাঙ্গা মাগন’ ছবির একটি গান অনুমতি ছাড়া টিজারে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, গানটির গীতিকার ভিন্ন হওয়ায় ইলইয়ারাজা একক মালিকানা দাবি করতে পারেন না। ফলে বিতর্কও ধীরে ধীরে মুছে যায় আলোচনার কেন্দ্র থেকে।
‘কুলি’ এর সাফল্য প্রমাণ করছে, বয়স বা সমালোচনা কোনো কিছুই রজনীকান্তের তারকাখ্যাতিকে থামাতে পারে না। এখন দেখার পালা, ছবিটি ঠিক কোথায় গিয়ে থামে।
‘সুপারফুড’ শব্দটি আজকাল বেশ জনপ্রিয় হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা কোনো স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও এই শব্দটির বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এমন কিছু খাবারের তালিকা তৈরি করেছে, যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই খাবারগুলো ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওজন ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা অনেকটাই জীবনযাত্রার ওপর নির্ভরশীল। চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ছয়টি খাবার ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী:
১. গাঢ় সবুজ শাকসবজি
ভিটামিন এ, কে, আয়রন, ফোলেট এবং পটাশিয়ামসমৃদ্ধ এসব শাকে প্রচুর আঁশ রয়েছে। ক্যালরি কম হওয়ায় প্লেটের অর্ধেক অংশই এ ধরনের শাক দিয়ে ভরানো যেতে পারে। সালাদ ও স্যুপে ব্যবহারেও ভালো বিকল্প।
২. শিম, মসুর ও মটরজাতীয় খাদ্য
ছোলা, চানা, রাজমা, মটর ইত্যাদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এতে প্রচুর প্রোটিন ও আঁশ রয়েছে। আধা কাপ এসব খাদ্য থেকে মেলে প্রায় এক আউন্স চর্বিহীন মাংসের সমপরিমাণ প্রোটিন। পাশাপাশি আয়রন, জিঙ্ক ও ফোলেটও পাওয়া যায়।
৩. টক ফল
লেবু, কমলা, জাম্বুরা প্রভৃতি ফলে থাকে ভিটামিন সি, ফোলেট ও পটাশিয়াম। গোটা ফল খেলে আঁশও পাওয়া যায়, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। খোসাসহ ফল খেলে আরও বেশি উপকার মেলে।
৪. দুধ ও টক দই
দুধ ও টক দইতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও উপকারী শর্করা। লো-ফ্যাট দুধ ও চিনি ছাড়া টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। দইয়ে ফল ও আখরোট মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৫. গোটা শস্য
পরিশোধিত নয়, এমন শস্য যেমন ওট, বার্লি, কিনোয়া, লাল চাল এবং গোটা গম, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে পাওয়া যায় ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও আঁশ।
৬. বাদাম ও বীজ
এক আউন্স বাদাম বা বীজ থেকে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকর তেল, আঁশ ও ম্যাগনেশিয়াম। তিসি, আখরোট ইত্যাদি যোগ করতে পারেন খাদ্যতালিকায়। তবে লবণযুক্ত বাদাম বা বীজ খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
এই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। পাশাপাশি হৃদ্রোগ ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণেও এগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
সহকর্মীর সঙ্গে ভিডিও পোস্ট করে আবারও আলোচনায় পরীমনি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই সরব থাকেন। কখনো রহস্যময় স্ট্যাটাস, কখনো খোলামেলা মন্তব্য বা ছবি পোস্ট করে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন তিনি। এবারও এর ব্যতিক্রম হলো না।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সহকর্মী গোলাম হোসেনের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন পরী। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কস্টিউম ডিজাইনার গোলাম হোসেনের কাঁধে হাত রেখে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন নায়িকা। ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে সুরেলা একটি সংগীত। ভিডিওর ক্যাপশনে সংক্ষেপে লেখা, “ভাই”।
ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই এটি ঘিরে শুরু হয় নানা আলোচনা ও ট্রল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন,‘ভাই ডাকার পরও এত ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিমা কেন?’ কেউ কেউ আবার এর পেছনে সম্পর্কের ইঙ্গিত খুঁজে বের করার চেষ্টাও করছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি পরীমনি।
তবে এমন সহকর্মীর সঙ্গে পরীর খুনসুটি নতুন নয়। এর আগেও গোলাম হোসেনের হাত ধরে আলিঙ্গনের ভঙ্গিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পরী। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, “হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।” ভিডিওটি ভাইরাল হতেই শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।
পরে পরীমনি স্পষ্ট করে জানান, ভিডিওটি ছিল “শুধু ভক্তদের চমকে দেওয়ার জন্য একটি প্র্যাংক”।
পরীমনির ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে, গোলাম হোসেন প্রায় সব জায়গাতেই তাঁর সঙ্গী থাকেন, চলচ্চিত্রের শুটিং, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান, এমনকি অবসর সময়েও। ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নাচ, সমুদ্রবিলাস, কিংবা একসঙ্গে ছবি তোলার মতো মুহূর্তগুলোতে নিয়মিতই দেখা গেছে দুজনকে।
আর সে কারণেই নতুন ভিডিও প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে, এবং পরীমনিকে নিয়ে ফের তৈরি হয়েছে আলোচনার ঢেউ।