ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

খুলনায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশুর, মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর জিসান (৭) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফয়সাল (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল স্থানীয় জি এম হান্নান শেখের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন জানান, নিহত জিসানের বাবা মো. আলমগীর হোসেন মণ্ডল জুট টেক্সটাইল মিলে মেকানিক্যাল পদে কর্মরত। গত ৯ অক্টোবর বিকেলে জিসান নিখোঁজ হয়। সেদিনই আলমগীর হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ জানায়, তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে শিশুটিকে ফয়সালের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। পরবর্তীতে ফয়সালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ফয়সালের বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

খুলনায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশুর, মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:৫২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর জিসান (৭) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফয়সাল (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল স্থানীয় জি এম হান্নান শেখের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন জানান, নিহত জিসানের বাবা মো. আলমগীর হোসেন মণ্ডল জুট টেক্সটাইল মিলে মেকানিক্যাল পদে কর্মরত। গত ৯ অক্টোবর বিকেলে জিসান নিখোঁজ হয়। সেদিনই আলমগীর হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ জানায়, তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে শিশুটিকে ফয়সালের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। পরবর্তীতে ফয়সালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ফয়সালের বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।