
মাঠে যেন ঝড় তুলেছিলেন জাপানি ফুটবলাররা। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাজিলকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে হজিমে মোরিয়াসুর দল। এই জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জাতীয় দল ব্রাজিলকে হারানোর গৌরব অর্জন করল জাপান।
ম্যাচের শুরুটা ছিল একদম ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণে। কার্লো আনচেলত্তির দল প্রথমার্ধে খেলছিল অনুশীলনের মতো সহজ ছন্দে। ২৫তম মিনিটে ব্রুনো গিমারায়েশের নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন রাইটব্যাক পাওলো হেনরিক। মাত্র ছয় মিনিট পর লুকাস পাকেতার চিপ পাসে দুর্দান্ত ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। প্রথমার্ধ শেষে ২-০ তে এগিয়ে ছিল সেলেসাওরা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় সবকিছু। ৫১তম মিনিটে ফ্যাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তাকুমি মিনামিনো। এই গোলই যেন ম্যাচের গতি বদলে দেয়। ৬১তম মিনিটে ইতোর করা ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ব্রুনো, যদিও পরে সেই গোল কেইতো নাকামুরার নামে দেওয়া হয়।
সমতা ফেরার পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে জাপান। আর ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে আসে বিজয়ের গোল ইতোর কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আয়াসে উএদা।
শেষদিকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও ব্রাজিল ফিরতে পারেনি ম্যাচে। জাপানের গোলরক্ষক জিওন সুজুকি দুর্দান্ত সব সেভ করে রুখে দিয়েছেন রিচার্লিসন, পাকেতা ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রচেষ্টা।
এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, জাপানের ফুটবলে নতুন যুগের সূচনা। অন্যদিকে, টানা ভালো ফর্মে থাকা ব্রাজিলের এই হারে প্রশ্ন উঠেছে আনচেলত্তির পরিকল্পনা এবং দলের রক্ষণভাগ নিয়ে।