ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

আবুধাবির তপ্ত মরুভূমিতে শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ব্যাটে-বলে বিধ্বস্ত হয়ে ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এর মাধ্যমে কোনো জয় ছাড়াই বিদায় নিতে হলো লাল-সবুজদের। আগের দুটি ম্যাচে কোনো মতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা টিকিয়ে রাখলেও সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা।

২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৭.১ ওভার খেলেই ৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ১০৯ রান, এবার সেটাও স্পর্শ করা গেল না। ব্যাটিং ব্যর্থতা, পরিকল্পনার ঘাটতি ও আত্মবিশ্বাসের অভাব সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিপর্যয়।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। ৫৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের মার। তবে তার ইনিংসও হলো নিষ্ফল, কারণ অন্য প্রান্তে একে একে ভেঙে পড়েছে পুরো ব্যাটিং লাইনআপ।

মোহাম্মদ নাঈম (৭), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩), তাওহীদ হৃদয় (৭), মেহেদী হাসান মিরাজ (৬), শামীম হোসেন (০), ও নুরুল হাসান সোহান (৪) একজনও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিং অর্ডারের ধস সামাল দিতে না পারায় টেলএন্ডাররাই স্কোরটিকে ৯৩ রানে নিয়ে যান।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তরুণ পেসার বিলাল সামি। মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। রশিদ খান বরাবরের মতোই ছিলেন ধারাবাহিক ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিরিজে মোট ১১ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে। ইব্রাহিম জাদরান ৯৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। আর ইনিংসের শেষদিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী মাত্র ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন প্রায় ৩০০ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান ৩টি, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এই ২০০ রানের জয় আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।

এছাড়াও এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ হার বাংলাদেশের। আগের দুই সিরিজে অন্তত একটি করে ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পেরেছিল টাইগাররা, তবে এবার সেই সুযোগও নেই।

পুরো সিরিজজুড়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা গেছে ব্যাটিং দুর্বলতা, পরিকল্পনায় অস্পষ্টতা এবং নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসের অভাব। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্পষ্ট ঘাটতি ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আবুধাবির তপ্ত মরুভূমিতে শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ব্যাটে-বলে বিধ্বস্ত হয়ে ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এর মাধ্যমে কোনো জয় ছাড়াই বিদায় নিতে হলো লাল-সবুজদের। আগের দুটি ম্যাচে কোনো মতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা টিকিয়ে রাখলেও সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা।

২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৭.১ ওভার খেলেই ৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ১০৯ রান, এবার সেটাও স্পর্শ করা গেল না। ব্যাটিং ব্যর্থতা, পরিকল্পনার ঘাটতি ও আত্মবিশ্বাসের অভাব সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিপর্যয়।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। ৫৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের মার। তবে তার ইনিংসও হলো নিষ্ফল, কারণ অন্য প্রান্তে একে একে ভেঙে পড়েছে পুরো ব্যাটিং লাইনআপ।

মোহাম্মদ নাঈম (৭), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩), তাওহীদ হৃদয় (৭), মেহেদী হাসান মিরাজ (৬), শামীম হোসেন (০), ও নুরুল হাসান সোহান (৪) একজনও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিং অর্ডারের ধস সামাল দিতে না পারায় টেলএন্ডাররাই স্কোরটিকে ৯৩ রানে নিয়ে যান।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তরুণ পেসার বিলাল সামি। মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। রশিদ খান বরাবরের মতোই ছিলেন ধারাবাহিক ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিরিজে মোট ১১ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে। ইব্রাহিম জাদরান ৯৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। আর ইনিংসের শেষদিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী মাত্র ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন প্রায় ৩০০ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান ৩টি, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এই ২০০ রানের জয় আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।

এছাড়াও এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ হার বাংলাদেশের। আগের দুই সিরিজে অন্তত একটি করে ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পেরেছিল টাইগাররা, তবে এবার সেই সুযোগও নেই।

পুরো সিরিজজুড়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা গেছে ব্যাটিং দুর্বলতা, পরিকল্পনায় অস্পষ্টতা এবং নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসের অভাব। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্পষ্ট ঘাটতি ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।