ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

মসজিদ আছে, মন্দির নেই: ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্ত চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পার হলেও এখনো সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো স্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ধর্মীয় উৎসব কিংবা আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর বাইরে যেতে হয়, যা অনেক সময় অনিরাপদ ও ভোগান্তিকর হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থী অতশি হালদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ রয়েছে, কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মচর্চার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। বহুবার দাবি জানালেও প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি।”

আরেক শিক্ষার্থী অনিক দাস বলেন, প্রশাসন আমাদের প্রতি বৈষম্য করছে। আমরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।”

শিক্ষার্থী উপমা মণ্ডল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে, কিন্তু শুধু একটি মসজিদ রয়েছে। বারবার আবেদন জানিয়েও আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।”

বিক্ষোভের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করে দেখব।”

এর আগেও কালীপূজা উদযাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

মসজিদ আছে, মন্দির নেই: ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৪:২৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্ত চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পার হলেও এখনো সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো স্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ধর্মীয় উৎসব কিংবা আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর বাইরে যেতে হয়, যা অনেক সময় অনিরাপদ ও ভোগান্তিকর হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থী অতশি হালদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ রয়েছে, কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মচর্চার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। বহুবার দাবি জানালেও প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি।”

আরেক শিক্ষার্থী অনিক দাস বলেন, প্রশাসন আমাদের প্রতি বৈষম্য করছে। আমরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।”

শিক্ষার্থী উপমা মণ্ডল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে, কিন্তু শুধু একটি মসজিদ রয়েছে। বারবার আবেদন জানিয়েও আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।”

বিক্ষোভের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করে দেখব।”

এর আগেও কালীপূজা উদযাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।