
একটি হত্যাকাণ্ডের জন্য যদি একবার মৃত্যুদণ্ড হয়ে থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৪০০ বার ফাঁসির দাবি ওঠা স্বাভাবিক তবে তা বাস্তবসম্ভব নয়। তবে অন্তত একবার মৃত্যুদণ্ড না হলে তা অবিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো ও বোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা না দিতে নির্দেশ দেওয়ার কথাও যুক্তিতর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতে অবস্থানকালেও শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তিই হতো।
এ সময় তিনি জানান, মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। একই সঙ্গে আসামিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আবেদন করা হয়।
আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা যুক্তি খণ্ডন করবেন। এরপর প্রসিকিউশন পুনরায় তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত হবে।