
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কালিয়াকৈর মডেল মসজিদ এর সামনে ও বিকেলে সফিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুসল্লী ও গাজীপুর জেলা ছাত্র শিবির এবং মৌচাক এলাকায় তৌহিদি জনতার উদ্যোগে ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করেন মুসলিম জনতা।
কিশোরী হলেন, কুড়িগ্রামের উলিপুর এলাকার জামাল উদ্দিন এর মেয়ে (১৩)। সে মৌচাক আবুবক্কর সিদ্দিকী মাদ্রাসার ছাত্রী।ধর্ষণকারীরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার মনোরা এলাকার মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস ও একই এলাকার নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে লোকনাথ দাস।বিক্ষোভ মিছিল সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে উপজেলার মৌচাক এলাকায় চাকুরী নেন। একই বাসায় ভাড়া থাকতেন লোকনাথ দাস। লোকনাথের শ্যালক ছিলেন জয় চন্দ্র দাস। একই বাসায় বসবাস করলে ও জয়ের সাথে কিশোরীর কোন সম্পর্ক ছিল না।
জয় চন্দ্র দাস কিশোরীকে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় লাগাতার তিন দিন ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরীকে শারিকভাবে নির্যাতন করে। ওই ঘটনায় প্রথমে থানায় জিডি করলেও অভিযুক্তদের হুমকীর কারনে মামলার সাহস পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। দীর্ঘ দুই মাস পরে স্থানীয় আলেমদের সহযোগিতায় মামলা করলে অভিযুক্তদের মধ্যে জয় কুমার দাস ও লোকনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে অন্য আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে। ধর্ষনের শিকার ওই মাদ্রাসার ছাত্রীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফোসে উঠে এলাকাবাসী। ওই ঘটনায় শুক্রবার কালিয়াকৈর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধর্ষনকারীদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।