ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার কাছে নৌকাডুবি, ৪০ জনের প্রাণহানি

তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ জন আফ্রিকান অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, আর ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে শাফাক নিউজ।

উপকূলীয় শহর আল-মাহদিয়ার প্রসিকিউটর দপ্তরের মুখপাত্র ওয়ালিদ ছতাবরি জানিয়েছেন, নৌকাটিতে মোট ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। নিহতদের সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার নাগরিক, এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ছিল।

তিউনিসিয়া বর্তমানে ইউরোপে পৌঁছানোর অন্যতম প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক সমুদ্রপথে অনেক অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছেছেন। যদিও ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা চুক্তিতে এই অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৩২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। ফলে এ পথটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার কাছে নৌকাডুবি, ৪০ জনের প্রাণহানি

আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ জন আফ্রিকান অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, আর ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে শাফাক নিউজ।

উপকূলীয় শহর আল-মাহদিয়ার প্রসিকিউটর দপ্তরের মুখপাত্র ওয়ালিদ ছতাবরি জানিয়েছেন, নৌকাটিতে মোট ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। নিহতদের সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার নাগরিক, এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ছিল।

তিউনিসিয়া বর্তমানে ইউরোপে পৌঁছানোর অন্যতম প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক সমুদ্রপথে অনেক অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছেছেন। যদিও ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা চুক্তিতে এই অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৩২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। ফলে এ পথটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে।