ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সাবলেট দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ

ছবি : সংগৃহীত

কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে ওঠার পর শিশুর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে ফয়সাল ও কাকলী নামের এক দম্পতি শিশুকে অপহরণ করেন। ১৯ অক্টোবর রাতে চার বছরের আব্দুল হাদি নূর নিখোঁজ হন। শিশুটির মা বাড়িতে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

পাশের সাবলেটে থাকা দম্পতির ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, শিশুটি তাদের কাছে আছে। তবে পরে ফোন বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে শিশুর মায়ের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে, যেখানে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে শিশুকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।

পরিবার প্রথমে ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন, কিন্তু শিশুকে ফেরত পায়নি। এরপর তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। দুই দিনের অনুসন্ধানে মিরপুর থেকে শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ, একই সঙ্গে ফয়সাল ও কাকলী দম্পতিকে গ্রেফতার করে।

কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, দম্পতিটি নিয়মিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন এবং সেখান থেকে নতুন টার্গেট নির্বাচন করতেন। তারা সাবলেট নিয়ে উঠে শিশুকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রাখত। মুক্তিপণ না পেলে শিশু বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৫-২০টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহৃত নয়। তাদের মানবপাচার চক্রের সঙ্গে সংযোগ আছে কি না, তা তদন্ত চলছে।

পুলিশ নাগরিকদের সাবধান করে বলেছে, সাবলেট দেওয়ার আগে ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র যাচাই ও তাদের পেশা ও উৎস নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে এই ধরনের অপরাধ থেকে পরিবারগুলো সুরক্ষিত থাকতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সাবলেট দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ

আপডেট সময় : ০৩:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে ওঠার পর শিশুর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে ফয়সাল ও কাকলী নামের এক দম্পতি শিশুকে অপহরণ করেন। ১৯ অক্টোবর রাতে চার বছরের আব্দুল হাদি নূর নিখোঁজ হন। শিশুটির মা বাড়িতে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

পাশের সাবলেটে থাকা দম্পতির ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, শিশুটি তাদের কাছে আছে। তবে পরে ফোন বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে শিশুর মায়ের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে, যেখানে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে শিশুকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।

পরিবার প্রথমে ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন, কিন্তু শিশুকে ফেরত পায়নি। এরপর তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। দুই দিনের অনুসন্ধানে মিরপুর থেকে শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ, একই সঙ্গে ফয়সাল ও কাকলী দম্পতিকে গ্রেফতার করে।

কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, দম্পতিটি নিয়মিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন এবং সেখান থেকে নতুন টার্গেট নির্বাচন করতেন। তারা সাবলেট নিয়ে উঠে শিশুকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রাখত। মুক্তিপণ না পেলে শিশু বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৫-২০টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহৃত নয়। তাদের মানবপাচার চক্রের সঙ্গে সংযোগ আছে কি না, তা তদন্ত চলছে।

পুলিশ নাগরিকদের সাবধান করে বলেছে, সাবলেট দেওয়ার আগে ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র যাচাই ও তাদের পেশা ও উৎস নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে এই ধরনের অপরাধ থেকে পরিবারগুলো সুরক্ষিত থাকতে পারে।