
গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনিদের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসামগ্রী নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসের হেগে দেওয়া রায়ে আদালত উল্লেখ করেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের স্থানীয় জনগণের জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহে বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। আদালত আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। খবর এএফপি।
রায়ে বলা হয়, যদিও এটি পরামর্শমূলক রায়, তবুও এর আইনি ও নৈতিক মূল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইসরায়েল রায়টি সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আশা করি ইসরায়েল রায়টি মেনে চলবে।
আদালত বিশেষভাবে ইসরায়েলকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বলেছে। ইসরায়েল যদিও এই সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ করেছে, আদালত জানায় তাদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি আম্মার হিজাজি বলেন, “এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব ইসরায়েলকে রায়টি মানতে বাধ্য করা।”
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ৫৩০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় ৬,৭০০ টন খাদ্য প্রবেশ করেছে যা অর্ধ মিলিয়ন মানুষের জন্য দুই সপ্তাহের খাবার। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭৫০ টন খাদ্য গাজায় যাচ্ছে, যা তাদের দৈনিক লক্ষ্যের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।
রায় ঘোষণার পর নরওয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েল যেন গাজায় ত্রাণ প্রবেশে আর কোনো বাধা না দেয়, সে বিষয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করবে।