ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জয়ের পর মিরাজের দলীয় সিদ্ধান্তের খোলসা

ছবি : সংগৃহীত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ পরিষ্কার জানিয়েছেন, জাতীয় দলের বড় সিদ্ধান্ত কোনো একজনের একক সিদ্ধান্তে নয়।

মিরাজ বলেন, “হেড কোচ সাধারণত প্রথমে সিদ্ধান্ত নেন। অনেকেই মনে করেন হয়তো ক্যাপ্টেন আর সালাউদ্দিন স্যার সবকিছু ঠিক করেন এমন নয়। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করি। ফিল সিমন্স পরামর্শ দেন, সালাউদ্দিন স্যার ও আমি কথা বলি, এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, কখনো কখনো প্রধান কোচের সঙ্গে ‘অ্যাগ্রি-ডিজঅ্যাগ্রি’ হয়, আর সেখান থেকেই দলীয় সমন্বয় গড়ে ওঠে। কেউ একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সব সিদ্ধান্তই মিলিতভাবে নেওয়া হয়।

স্কোয়াড সম্পর্কিত প্রশ্নে মিরাজ বলেন, ওয়ানডেতে ১৫ জন খেলছে বলে মনে হতে পারে স্কোয়াড ছোট, কিন্তু মূল স্কোয়াডে ২৫-২৭ জন রয়েছে। তাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলানো হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে এভাবেই পরীক্ষা করা হচ্ছে, কে কোন পজিশনে কেমন পারফর্ম করছে তা দেখা হচ্ছে। দিনশেষে পারফরম্যান্সই গুরুত্বপূর্ণ।

মিরাজ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, সৌম্য সরকার আগের দুই সিরিজে খেলেননি, এবার সুযোগ পেয়েছেন; এভাবেই বোর্ড ও কোচরা তরুণদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।

মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে মিরাজ বলেন, এটি নতুন কিছু নয়। আমি নিজে এখানে অভিষেক করেছি এবং অনেকদিন খেলেছি। আগে একটু ঘাস থাকত, এখন কমেছে। ঘাস থাকলে বল স্কিড করতো; এখন সেই পার্থক্য ছাড়া বিশেষ কিছু মনে হয় না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জয়ের পর মিরাজের দলীয় সিদ্ধান্তের খোলসা

আপডেট সময় : ০৫:১৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ পরিষ্কার জানিয়েছেন, জাতীয় দলের বড় সিদ্ধান্ত কোনো একজনের একক সিদ্ধান্তে নয়।

মিরাজ বলেন, “হেড কোচ সাধারণত প্রথমে সিদ্ধান্ত নেন। অনেকেই মনে করেন হয়তো ক্যাপ্টেন আর সালাউদ্দিন স্যার সবকিছু ঠিক করেন এমন নয়। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করি। ফিল সিমন্স পরামর্শ দেন, সালাউদ্দিন স্যার ও আমি কথা বলি, এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, কখনো কখনো প্রধান কোচের সঙ্গে ‘অ্যাগ্রি-ডিজঅ্যাগ্রি’ হয়, আর সেখান থেকেই দলীয় সমন্বয় গড়ে ওঠে। কেউ একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সব সিদ্ধান্তই মিলিতভাবে নেওয়া হয়।

স্কোয়াড সম্পর্কিত প্রশ্নে মিরাজ বলেন, ওয়ানডেতে ১৫ জন খেলছে বলে মনে হতে পারে স্কোয়াড ছোট, কিন্তু মূল স্কোয়াডে ২৫-২৭ জন রয়েছে। তাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলানো হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে এভাবেই পরীক্ষা করা হচ্ছে, কে কোন পজিশনে কেমন পারফর্ম করছে তা দেখা হচ্ছে। দিনশেষে পারফরম্যান্সই গুরুত্বপূর্ণ।

মিরাজ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, সৌম্য সরকার আগের দুই সিরিজে খেলেননি, এবার সুযোগ পেয়েছেন; এভাবেই বোর্ড ও কোচরা তরুণদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।

মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে মিরাজ বলেন, এটি নতুন কিছু নয়। আমি নিজে এখানে অভিষেক করেছি এবং অনেকদিন খেলেছি। আগে একটু ঘাস থাকত, এখন কমেছে। ঘাস থাকলে বল স্কিড করতো; এখন সেই পার্থক্য ছাড়া বিশেষ কিছু মনে হয় না।