ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

ট্রাম্পের সামনে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের নেতারা এই চুক্তিতে সই করেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কিছু করতে পেরেছি, যা অনেকেই অসম্ভব মনে করেছিলেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন একে ‘টেকসই শান্তির ভিত্তি স্থাপনকারী ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দেন। অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত বলেন, আজকের দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চুক্তির প্রথম ধাপে থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেবে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ভারী অস্ত্র ও স্থলমাইন অপসারণ করবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে মালয়েশিয়ার সেনারা।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে ১৯০৭ সালের ফরাসি উপনিবেশিক সীমারেখা নিয়ে বহুদিন ধরে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি লাওস সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চল ও প্রাচীন আংকর সাম্রাজ্যের কয়েকটি মন্দির এলাকা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পাশাপাশি ট্রাম্প কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলাদা বাণিজ্য চুক্তিও করেন। এসব চুক্তির আওতায় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমাতে সম্মত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১৯ শতাংশ শুল্ক আগের মতোই বহাল থাকবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, রোগীর মৃত্যু

ট্রাম্পের সামনে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট সময় : ০৫:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের নেতারা এই চুক্তিতে সই করেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কিছু করতে পেরেছি, যা অনেকেই অসম্ভব মনে করেছিলেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন একে ‘টেকসই শান্তির ভিত্তি স্থাপনকারী ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দেন। অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত বলেন, আজকের দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চুক্তির প্রথম ধাপে থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেবে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ভারী অস্ত্র ও স্থলমাইন অপসারণ করবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে মালয়েশিয়ার সেনারা।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে ১৯০৭ সালের ফরাসি উপনিবেশিক সীমারেখা নিয়ে বহুদিন ধরে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি লাওস সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চল ও প্রাচীন আংকর সাম্রাজ্যের কয়েকটি মন্দির এলাকা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পাশাপাশি ট্রাম্প কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলাদা বাণিজ্য চুক্তিও করেন। এসব চুক্তির আওতায় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমাতে সম্মত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১৯ শতাংশ শুল্ক আগের মতোই বহাল থাকবে।