ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

পদ্মার শাখা নদীতে কুমির আতঙ্ক

ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ধুলশুড়া ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদীতে বড় আকারের কুমির দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকার নারী-পুরুষরা নদীতে কুমির দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, যার ফলে খালে গোসল এবং মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তিনটি কুমির দেখা গেছে।

পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ওই সরু খালটি বর্ষার পানি দিয়ে ভরে গেছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বর্ষার পানির সঙ্গে কুমিরগুলো পদ্মা থেকে এখানে প্রবেশ করেছে। কুমিরগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত থেকে আট হাতের মতো।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুমিরের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছেন, আর খালপাড়ের মানুষ গোসল বা কাপড় ধোয়ার জন্য পানি ব্যবহার করলেও এখন ভয়ভীতি নিয়ে সেখানে নামছেন। এতে শত শত পরিবারের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়েছে।

চর বংখুরির মাজেদা আক্তার জানান, কুমির ঘাটের কাছে আসায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত দূরে সরে যান। এক কুমির হাঁস ধরে নিয়ে গেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।

বোয়ালী এলাকার জেলে আলমাস বলেছেন, কুমিরের ভয়ে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। বড়ইচারা এলাকার নিতাই সরকার বলেছেন, প্রায় ১০ দিন ধরে কুমির দেখা যাচ্ছে এবং দ্রুত প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহুরুল হক জানিয়েছেন, এটি বন্যপ্রাণী হিসেবে বন বিভাগের দায়িত্বে, তারা সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিজা বিসরাত জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে এবং বন বিভাগের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌম্য-রিশাদের লড়াইয়ে ২১০ পেরোল বাংলাদেশ

পদ্মার শাখা নদীতে কুমির আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ধুলশুড়া ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদীতে বড় আকারের কুমির দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকার নারী-পুরুষরা নদীতে কুমির দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, যার ফলে খালে গোসল এবং মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তিনটি কুমির দেখা গেছে।

পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ওই সরু খালটি বর্ষার পানি দিয়ে ভরে গেছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বর্ষার পানির সঙ্গে কুমিরগুলো পদ্মা থেকে এখানে প্রবেশ করেছে। কুমিরগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত থেকে আট হাতের মতো।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুমিরের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছেন, আর খালপাড়ের মানুষ গোসল বা কাপড় ধোয়ার জন্য পানি ব্যবহার করলেও এখন ভয়ভীতি নিয়ে সেখানে নামছেন। এতে শত শত পরিবারের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়েছে।

চর বংখুরির মাজেদা আক্তার জানান, কুমির ঘাটের কাছে আসায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত দূরে সরে যান। এক কুমির হাঁস ধরে নিয়ে গেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।

বোয়ালী এলাকার জেলে আলমাস বলেছেন, কুমিরের ভয়ে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। বড়ইচারা এলাকার নিতাই সরকার বলেছেন, প্রায় ১০ দিন ধরে কুমির দেখা যাচ্ছে এবং দ্রুত প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহুরুল হক জানিয়েছেন, এটি বন্যপ্রাণী হিসেবে বন বিভাগের দায়িত্বে, তারা সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিজা বিসরাত জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে এবং বন বিভাগের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।