
মাদারীপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের সচেতনা সৃষ্টির জন্য স্কাউট ও গার্লস গাইডদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী মাদারীপুর জেলা সরকারি সমন্বিত মাল্টিপারপাস হল রুমে জেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা বিষয়ক এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোছা: ইয়াসমিন আক্তার। এসময় বক্তৃতারা টাইফয়েড রোগের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু দ্রæত ছড়ায় এবং সময়মতো সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।বক্তারা টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যকর ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা তথ্য অফিসার মো.দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার নাইমুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শরিফুল আবেদীন কমল,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফাতেমা আজরিন তন্বী,গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী শাম্মীনাজ আলম,জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল ইসলাম,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফজলে এলাহি, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহন মিয়া, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরীফ মুহাম্মদ এমারত হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ -হির রাফি,জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালক মীর মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর জেলা তথ্য অফিসার জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের অর্থায়নে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শরিফুল আবেদীন কমল বলেন,জেলায় টার্গেট মোট ৯৫ শতাংশ টাইফয়েড ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৮৯ জন। ইতিমধ্যে মাদারীপুরে ৯৬ হাজার মতো রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন এখনো চলমান আছে। মোট ১৮ কর্ম দিবসের এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।