
আমরা প্রতিদিন নানা সুস্বাদু খাবার খাই, কিন্তু যদি খুব বেশি তেল ব্যবহার করি, তা হলে আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এটি ওজন বাড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতেও সাহায্য করে।
তবে চিন্তার কিছু নেই আপনি যদি তেলের পরিমাণ কমিয়ে রান্না করেন, তবুও পছন্দের খাবারগুলো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি করতে পারবেন। নিচে কিছু সহজ ও কার্যকর উপায় দেওয়া হলো, যেগুলো মেনে চললে কম তেলে রান্না সম্ভব হবে।
প্যান ফ্রাই করুন, ডুবো তেল নয়
ভাজা খাবারের স্বাদ ভালো লাগলে ডুবো তেলের বদলে প্যান ফ্রাই করুন। এতে তেল খুব কম ব্যবহার হয় এবং খাবার মচমচে ও সুস্বাদু হয়।
ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন
রান্নাঘরে যদি ননস্টিক প্যান থাকে, তা ব্যবহার করুন। এতে কম তেল ব্যবহার করেই খাবার রান্না করা যায় এবং খাবার প্যানের সাথে চিপকে না।
বেকিং করুন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে মাছ, মাংস কিংবা সবজি বেক করুন। বেকিংয়ে তেলের ব্যবহার খুবই কম হয়, ফলে খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি বজায় থাকে।
ভাঁপা রান্না করুন
ইলিশ, চিংড়ি বা ডিমের মতো খাবার ভাঁপা করে রান্না করলে তেল কম লাগে এবং স্বাদও ভালো হয়। ভাঁপা খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়ায় এটির গুরুত্ব বেশি।
তেল মেপে ব্যবহার করুন
রান্নায় তেল পরিমাপে ব্যবহার করুন। সরাসরি বোতল থেকে ঢাললে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তেল চলে যায়, যা অপচয় এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
স্টিমিং করুন
সবজি, মাছ বা মাংস স্টিম করলে তেল ব্যবহার কম হয়। স্টিমিং প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ক্ষতি কমায়, তাই স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি হিসেবে এটি জনপ্রিয়।
সঠিক তাপমাত্রায় তেল ব্যবহার করুন
তেল গরম করে রান্না করলে তেল দ্রুত শোষিত হয় এবং কম ব্যবহার হয়। তবে অতিরিক্ত গরম তেল ক্ষতিকর, তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
তেলবিহীন মশলা ও মিষ্টি তৈরি করুন
অনেক ধরনের মিষ্টি ও মশলা তেল ছাড়া তৈরি করা যায়। যেমন হালুয়া, বাদাম-কিসমিস সংযুক্ত খাবার বা স্যুপ, যা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।
কম তেলে রান্না করলে শুধু আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না, দৈনন্দিন খরচও কম হবে। তাই আজ থেকেই এসব স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি অবলম্বন করুন এবং সুস্বাদু খাবারের আনন্দ উপভোগ করুন।