ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

দুদকের জালে সাবেক কাউন্সিলর, জব্দ হোটেল সেন্ডসিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের মালিকানাধীন কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজায় নির্মিত হোটেল ‘সেন্ডসিটি’র তার নামীয় অংশ আদালতের নির্দেশে রিসিভারের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়েছে।

সম্পদটির মূল্য আনুমানিক ১১ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯১০ টাকা। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির (রিসিভার) মোহাম্মদ নেছার আহমেদের কাছে এটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে জমা পড়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-১ জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধানে উঠে আসে জিয়াউল হক সুমনের নামে রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকার এবং তাঁর স্ত্রী শাহনাজ আকতারের নামে প্রায় দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব এই অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। কমিশনের নির্দেশে তিনি গেলো ১৮ জুন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেন। এতে জিয়াউল হক সুমন ও তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ ক্রোকের আবেদন জানানো হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পদ ক্রোকের নির্দেশনা দেন এবং একজন রিসিভার নিয়োগ করেন।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের অনেকেই এটিকে দুঃখজনক ও নেতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, জনপ্রতিনিধির পদ ব্যবহার করে এ ধরনের অবৈধ সম্পদ অর্জন দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ এবং এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

দুদকের জালে সাবেক কাউন্সিলর, জব্দ হোটেল সেন্ডসিটি

আপডেট সময় : ১১:০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:  দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের মালিকানাধীন কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজায় নির্মিত হোটেল ‘সেন্ডসিটি’র তার নামীয় অংশ আদালতের নির্দেশে রিসিভারের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়েছে।

সম্পদটির মূল্য আনুমানিক ১১ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯১০ টাকা। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির (রিসিভার) মোহাম্মদ নেছার আহমেদের কাছে এটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে জমা পড়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-১ জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধানে উঠে আসে জিয়াউল হক সুমনের নামে রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকার এবং তাঁর স্ত্রী শাহনাজ আকতারের নামে প্রায় দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব এই অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। কমিশনের নির্দেশে তিনি গেলো ১৮ জুন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেন। এতে জিয়াউল হক সুমন ও তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ ক্রোকের আবেদন জানানো হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পদ ক্রোকের নির্দেশনা দেন এবং একজন রিসিভার নিয়োগ করেন।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের অনেকেই এটিকে দুঃখজনক ও নেতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, জনপ্রতিনিধির পদ ব্যবহার করে এ ধরনের অবৈধ সম্পদ অর্জন দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ এবং এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।