ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

পাবনায় ট্রেন বিলম্বে উত্তেজনা, স্টেশন ভাঙচুর-সংঘর্ষে আহত

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরৎনগর রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া স্টেশনে সোমবার ভোরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলমান থাকায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরৎনগর স্টেশনে থামানো হয়। রেললাইন মেরামত শেষ না হওয়ায় ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হয়, যা নিয়ে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

যাত্রীরা প্রথমে স্টেশন মাস্টার মো. তাওহীদ হোসেনের সঙ্গে বাক্যবিতণ্ডা শুরু করেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন। পরে আরও যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন এলাকায় হইচই শুরু করে, যা থেকে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়। নিরাপত্তার কারণে স্টেশন মাস্টার পাশের মসজিদে আশ্রয় নেন। মসজিদের মাইক ব্যবহার করে স্থানীয়দের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এরপর গ্রামবাসী এসে উত্তেজিত যাত্রীদের প্রতিরোধ করে।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ নামে দুই স্থানীয় যুবকসহ কিছু যাত্রী আহত হন, তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

শরৎনগর রেলস্টেশন মাস্টার মো. তাওহীদ হোসেন জানান, রেললাইন মেরামত চলায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনকে রাতে স্টেশনে থামাতে হয়েছিল। ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাক্যবিতণ্ডা থেকে ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হলে তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদে আশ্রয় নেন। পরে এলাকাবাসী পরিস্থিতি শান্ত করলে উত্তেজিত যাত্রীরা চলে যায়। তবে কিছু যাত্রী ট্রেনের জানালা ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাত ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে নির্ধারিত গন্তব্যে ছাড়ার ব্যবস্থা করে। মারামারিতে কয়েকজন আহত হলেও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

পাবনায় ট্রেন বিলম্বে উত্তেজনা, স্টেশন ভাঙচুর-সংঘর্ষে আহত

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরৎনগর রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া স্টেশনে সোমবার ভোরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলমান থাকায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরৎনগর স্টেশনে থামানো হয়। রেললাইন মেরামত শেষ না হওয়ায় ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হয়, যা নিয়ে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

যাত্রীরা প্রথমে স্টেশন মাস্টার মো. তাওহীদ হোসেনের সঙ্গে বাক্যবিতণ্ডা শুরু করেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন। পরে আরও যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন এলাকায় হইচই শুরু করে, যা থেকে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়। নিরাপত্তার কারণে স্টেশন মাস্টার পাশের মসজিদে আশ্রয় নেন। মসজিদের মাইক ব্যবহার করে স্থানীয়দের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এরপর গ্রামবাসী এসে উত্তেজিত যাত্রীদের প্রতিরোধ করে।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ নামে দুই স্থানীয় যুবকসহ কিছু যাত্রী আহত হন, তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

শরৎনগর রেলস্টেশন মাস্টার মো. তাওহীদ হোসেন জানান, রেললাইন মেরামত চলায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনকে রাতে স্টেশনে থামাতে হয়েছিল। ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাক্যবিতণ্ডা থেকে ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হলে তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদে আশ্রয় নেন। পরে এলাকাবাসী পরিস্থিতি শান্ত করলে উত্তেজিত যাত্রীরা চলে যায়। তবে কিছু যাত্রী ট্রেনের জানালা ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাত ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে নির্ধারিত গন্তব্যে ছাড়ার ব্যবস্থা করে। মারামারিতে কয়েকজন আহত হলেও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।