
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম নাটকীয়তা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ বিএনপিপন্থী প্রার্থীদের একাংশ হঠাৎ করেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
তামিম অভিযোগ করেছেন, এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক ‘কালো অধ্যায়’। তার মতে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় তিনি এবং আরও কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ক্রীড়া ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি পাল্টা অভিযোগ এনে দাবি করেন, বিসিবির নির্বাচন নিয়ে ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলির কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন,
“কেউ একজন ফোন করে বিরাট কোহলিকে বিসিবি নির্বাচনের ব্যাপারে অভিযোগ করেছে, আর কোহলি তা গৌতম গম্ভীরসহ আরও অনেককে জানিয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এভাবে আন্তর্জাতিক মহলে বলা দেশের জন্য লজ্জাজনক।”
বিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ‘পাপন যুগ’ এর মতো অবস্থা ফিরে এসেছে এমন অভিযোগও উঠেছে। তবে এই অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন,
“আগে যেভাবে কাউন্সিলররা নির্বাচিত হতেন—তাদের অনেকের ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে কোনো সরাসরি সংযোগ ছিল না। বর্তমানে যারা আছেন, তারা সবাই ক্রীড়া সংগঠক।”
এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ হিসেবে এনেছেন জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজের নাম।
“রাজ্জাক রাজ একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে আসছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে নয়,” বলেন আসিফ মাহমুদ।
বর্তমানে বিসিবি নির্বাচন ঘিরে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। সামনে নির্বাচনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।