ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শোক

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন অনন্য কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক এবং রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার এক অনুপম পথিকৃৎ।”

তিনি উল্লেখ করেন, শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে আহমদ রফিক বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। দুই বাংলায় তার রবীন্দ্রচর্চা সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত হওয়া ছিল তার জ্ঞানভিত্তিক অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার অঙ্গনে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তির জটিলতা ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।”

তিনি আহমদ রফিকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বলেন, “তার জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করবে।”

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবার, শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমী জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শোক

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন অনন্য কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক এবং রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার এক অনুপম পথিকৃৎ।”

তিনি উল্লেখ করেন, শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে আহমদ রফিক বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। দুই বাংলায় তার রবীন্দ্রচর্চা সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত হওয়া ছিল তার জ্ঞানভিত্তিক অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার অঙ্গনে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তির জটিলতা ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।”

তিনি আহমদ রফিকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বলেন, “তার জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করবে।”

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবার, শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমী জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।