ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

ওড়িশায় ভয়াবহ ভূমিধস, চলমান উদ্ধার কার্যক্রমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা গজপতি জেলার বাসতিগুড়া গ্রামের ত্রিনাথ নায়েক ও মেরিপল্লী গ্রামের লক্ষণ নায়েক। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এক্সে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি নিহতদের প্রতি ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম তদারকির জন্য বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রবল বৃষ্টিতে গজপতি, রায়াগাদা ও কোরাপুট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস, জলাবদ্ধতা এবং যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। গজপতির পুলিশ সুপার জতীন্দ্র কুমার পান্ডা জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধার করতে ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে এবং আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নদী পার হওয়ার সময় একজন মারা গেছেন, আরেকজনকে আজ সকালে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, রায়াগাদা ব্লকে ভূমিধসের পর থেকে ৭০ বছর বয়সী কার্তিকা শাবরা ও তার ছেলে রাজীব শাবরা নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ওড়িশার কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির ফলে প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধারকাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

ওড়িশায় ভয়াবহ ভূমিধস, চলমান উদ্ধার কার্যক্রমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা গজপতি জেলার বাসতিগুড়া গ্রামের ত্রিনাথ নায়েক ও মেরিপল্লী গ্রামের লক্ষণ নায়েক। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এক্সে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি নিহতদের প্রতি ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম তদারকির জন্য বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রবল বৃষ্টিতে গজপতি, রায়াগাদা ও কোরাপুট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস, জলাবদ্ধতা এবং যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। গজপতির পুলিশ সুপার জতীন্দ্র কুমার পান্ডা জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধার করতে ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে এবং আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নদী পার হওয়ার সময় একজন মারা গেছেন, আরেকজনকে আজ সকালে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, রায়াগাদা ব্লকে ভূমিধসের পর থেকে ৭০ বছর বয়সী কার্তিকা শাবরা ও তার ছেলে রাজীব শাবরা নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ওড়িশার কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির ফলে প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধারকাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছেন।