
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর মারওয়ান হোসেন বিজয় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) সিপিসি-৩, নোয়াখালী।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো, শাফায়েত হোসেন সৈকত (২০)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ ও শাহিদা আখতারের ছেলে। সোমবার (৬ অক্টোবর ) সকালে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ( ৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নূর ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কল্লা মার্কেট এলাকায় মারওয়ান হোসেন বিজয় (১৭) নামের এক কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন শতাধিক বার কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ভিকটিমের বোন শাহানাজ আক্তার সুবর্ণা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত সৈকতসহ অন্যান্য আসামীরা স্থানীয় কুখ্যাত ‘দেলোয়ার বাহিনীর’ সদস্য। তারা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বিজয়কে রাস্তার ওপর আটকে ধারালো রামদা, কিরিচ, ছোরা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। বিজয়ের সঙ্গে থাকা আরেকজনকেও তারা কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় বিজয়কে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন,ঘটনার পর থেকে মামলার আসামীরা পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর গোয়েন্দা তৎপরতায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।