ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযু\ক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রে/প্তা/রের দাবি এনসিপির

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কিছু সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, তবে এই পথচলায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা বিশেষত যাঁরা র‍্যাব বা ডিজিফাই-এর মতো বাহিনীতে ছিলেন তাঁরা গু*ম, খু*ন, ও কথিত ক্রসফায়ারের মতো মানবতাবিরোধী অ/প/রা/ধে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এই অপরাধের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, গণতন্ত্রের ব্যর্থতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ। এখন একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত করার। এজন্য মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব এই প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনাল ও সরকারের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে, কারণ এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার প্রশ্ন নয়, বরং রাষ্ট্র, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।

তিনি হুঁশিয়ার করেন, বিচার ব্যবস্থা ও সেনাবাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়, কারণ দেশবিরোধী গোষ্ঠী চাইছে সংঘাত হোক এবং দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক।

নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ যেমন কাম্য নয়, তেমনি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পেশাদার ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানরূপে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়া উচিত।

তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জাতীয় স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষার জন্য এনসিপি সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার, বিচার, দুর্নীতি দমন ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হচ্ছে।।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযু\ক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রে/প্তা/রের দাবি এনসিপির

আপডেট সময় : ০১:২২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কিছু সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, তবে এই পথচলায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা বিশেষত যাঁরা র‍্যাব বা ডিজিফাই-এর মতো বাহিনীতে ছিলেন তাঁরা গু*ম, খু*ন, ও কথিত ক্রসফায়ারের মতো মানবতাবিরোধী অ/প/রা/ধে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এই অপরাধের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, গণতন্ত্রের ব্যর্থতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ। এখন একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত করার। এজন্য মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব এই প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনাল ও সরকারের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে, কারণ এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার প্রশ্ন নয়, বরং রাষ্ট্র, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।

তিনি হুঁশিয়ার করেন, বিচার ব্যবস্থা ও সেনাবাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়, কারণ দেশবিরোধী গোষ্ঠী চাইছে সংঘাত হোক এবং দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক।

নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ যেমন কাম্য নয়, তেমনি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পেশাদার ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানরূপে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়া উচিত।

তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জাতীয় স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষার জন্য এনসিপি সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার, বিচার, দুর্নীতি দমন ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হচ্ছে।।