ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

আফগানিস্তানের সিরিজ জয়, ব্যাটে-বলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ

ছবিঃ সংগৃহিত

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। মাত্র ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান স্লো পিচে সুবিধা করতে পারেনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই, ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। বাংলাদেশ বোলাররা ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে।

পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাতটি হানেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব, যিনি ১১ রান করা ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন। এরপর দলীয় ৩৮ রানে আউট হন সেদিকুল্লাহ অতল। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদী ফেরেন মাত্র ৪ রানে।

৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এরপর ২২ রান করা মোহাম্মদ নবি ও রান না করেই ফেরত যাওয়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হলে আরও বড় বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। শেষ পর্যন্ত একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান, যিনি ৯৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন গজনফর।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব পান ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানে দুই ওপেনার বিদায় নেন। সাইফ হাসান করেন ২২ রান। এরপর আফগান বোলারদের ধারাবাহিক আক্রমণে একে একে ফিরে যান বাকিরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে একমাত্র তাওহীদ হৃদয় কিছুটা লড়াই করেন, ২৪ রান করে। তবে তা কেবল হারের ব্যবধানই কমায়।

শেষ পর্যন্ত ২৮.৩ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ এবং সিরিজ হার মানে বাংলাদেশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

আফগানিস্তানের সিরিজ জয়, ব্যাটে-বলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। মাত্র ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান স্লো পিচে সুবিধা করতে পারেনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই, ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। বাংলাদেশ বোলাররা ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে।

পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাতটি হানেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব, যিনি ১১ রান করা ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন। এরপর দলীয় ৩৮ রানে আউট হন সেদিকুল্লাহ অতল। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদী ফেরেন মাত্র ৪ রানে।

৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এরপর ২২ রান করা মোহাম্মদ নবি ও রান না করেই ফেরত যাওয়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হলে আরও বড় বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। শেষ পর্যন্ত একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান, যিনি ৯৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন গজনফর।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব পান ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানে দুই ওপেনার বিদায় নেন। সাইফ হাসান করেন ২২ রান। এরপর আফগান বোলারদের ধারাবাহিক আক্রমণে একে একে ফিরে যান বাকিরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে একমাত্র তাওহীদ হৃদয় কিছুটা লড়াই করেন, ২৪ রান করে। তবে তা কেবল হারের ব্যবধানই কমায়।

শেষ পর্যন্ত ২৮.৩ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ এবং সিরিজ হার মানে বাংলাদেশ।