ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ ও দখল

ছবি : সংগৃহীত

শনিবার রাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘটিত তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আফগান বাহিনীর ১৯টি সীমান্তপোস্ট দখল করে নিয়েছে। ডুরান মেলা, তুর্কমানজাই, শহিদান, কুনার ও চাগাইসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের লড়াইয়ের ফলে আফগান সেনারা এসব পোস্ট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষে আফগান বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে। নিহত সৈন্যদের মরদেহ ফেলে রেখে আফগান সেনারা পিছু হটেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানের দাবি, এই অভিযান নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর নেতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বিমান হামলায় টিটিপির প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইফুল্লাহকে টিটিপির সম্ভাব্য নতুন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

আফগান তালেবান সরকার হামলায় হতাহতদের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, শুক্রবার কাবুলের এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের এ হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে। এ ঘটনার পরই শনিবার রাতে আফগান সেনারা পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর, কুরম, দির, চিত্রাল ও বারামচা এলাকায় পাল্টা হামলা চালায়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, তারা আগে থেকেই সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে প্রস্তুত ছিল এবং আফগান বাহিনীর আক্রমণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়। সংঘর্ষে ড্রোন, ট্যাংক এবং বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ ও দখল

আপডেট সময় : ১১:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার রাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘটিত তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আফগান বাহিনীর ১৯টি সীমান্তপোস্ট দখল করে নিয়েছে। ডুরান মেলা, তুর্কমানজাই, শহিদান, কুনার ও চাগাইসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের লড়াইয়ের ফলে আফগান সেনারা এসব পোস্ট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষে আফগান বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে। নিহত সৈন্যদের মরদেহ ফেলে রেখে আফগান সেনারা পিছু হটেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানের দাবি, এই অভিযান নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর নেতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বিমান হামলায় টিটিপির প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইফুল্লাহকে টিটিপির সম্ভাব্য নতুন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

আফগান তালেবান সরকার হামলায় হতাহতদের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, শুক্রবার কাবুলের এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের এ হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে। এ ঘটনার পরই শনিবার রাতে আফগান সেনারা পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর, কুরম, দির, চিত্রাল ও বারামচা এলাকায় পাল্টা হামলা চালায়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, তারা আগে থেকেই সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে প্রস্তুত ছিল এবং আফগান বাহিনীর আক্রমণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়। সংঘর্ষে ড্রোন, ট্যাংক এবং বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে।