ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

ফটিকছড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ৬টি ঘর ও গোডাউন

ছবিঃ সংগৃহিত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতঘর ও চারটি গোডাউন সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। আগুন নেভানোর সময় অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মঈন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ভূজপুর থানার অন্তর্গত দাঁতমারা ইউনিয়নের পুরাতন মাছ বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শেখ আহমদের মালিকানাধীন দুটি ভাড়া ঘর ও স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের চারটি টিনশেড গোডাউন। সবগুলো ঘরই ছিল আধাপাকা নির্মাণের।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের খবর পেয়ে রামগড় ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। তবে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ জানান, আগুন লাগার বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়েছিল, তবে তখন তাদের ইউনিট মাইজভাণ্ডারে ডিউটিতে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে রামগড় ফায়ার সার্ভিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যারা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।

এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লক্ষাধিক টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

ফটিকছড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ৬টি ঘর ও গোডাউন

আপডেট সময় : ১২:০৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতঘর ও চারটি গোডাউন সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। আগুন নেভানোর সময় অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মঈন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ভূজপুর থানার অন্তর্গত দাঁতমারা ইউনিয়নের পুরাতন মাছ বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শেখ আহমদের মালিকানাধীন দুটি ভাড়া ঘর ও স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের চারটি টিনশেড গোডাউন। সবগুলো ঘরই ছিল আধাপাকা নির্মাণের।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের খবর পেয়ে রামগড় ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। তবে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ জানান, আগুন লাগার বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়েছিল, তবে তখন তাদের ইউনিট মাইজভাণ্ডারে ডিউটিতে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে রামগড় ফায়ার সার্ভিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যারা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।

এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লক্ষাধিক টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।