
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিকসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার উত্তর সাজুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মোহন (২২) এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচুরা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আতিকুর রহমান (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মমিনুল ইসলাম। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের একপর্যায়ে কিশোরী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে মমিনুল ও তার বন্ধু আতিকুর কিশোরীকে অটোরিকশায় করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তখনই তাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
তবে ঢাকা নেওয়ার পথে চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছানোর আগেই কিশোরী মারা যান। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অ্যাম্বুলেন্স চালক কৌশলে গাড়িটি মির্জাপুর থানায় নিয়ে যান। পরে পুলিশ মমিনুল ও আতিকুরকে আটক করে।
পরদিন সকালে মির্জাপুর থানা পুলিশ বিষয়টি কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে অবহিত করলে, দুপুরে আসামিদের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান,প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।