ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

দিঘলিয়ায় শিশুর হত্যায় বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

ছবি : সংগৃহীত

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুর হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামিদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ লোকজন। রোববার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার বিকেলে ফয়সাল শেখের বাড়ির উঠান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় শিশুটি জিসানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ফয়সাল ও তার বাবা-মায়ের নামে হত্যা মামলা করা হয় এবং পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত জিসানের বাবা মো. আলমগীর হোসেন স্থানীয় মণ্ডল জুট টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করেন। রোববার ওই কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ফয়সালের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগও করে।

দিঘলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, “উত্তেজিত জনতা ফয়সাল ও তার পরিবারের বাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়েছে। পুলিশ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।”

পুলিশ জানায়, জিসান ৯ অক্টোবর বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। জিসানের বাবা আলমগীর হোসেন দিঘলিয়া থানায় একটি জিডি করেন। তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, জিসানকে সর্বশেষ ফয়সালের সঙ্গে কোয়ার্টার থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে দেখা গেছে। পরে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। ফয়সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ির উঠান থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

দিঘলিয়ায় শিশুর হত্যায় বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুর হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামিদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ লোকজন। রোববার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার বিকেলে ফয়সাল শেখের বাড়ির উঠান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় শিশুটি জিসানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ফয়সাল ও তার বাবা-মায়ের নামে হত্যা মামলা করা হয় এবং পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত জিসানের বাবা মো. আলমগীর হোসেন স্থানীয় মণ্ডল জুট টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করেন। রোববার ওই কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ফয়সালের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগও করে।

দিঘলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, “উত্তেজিত জনতা ফয়সাল ও তার পরিবারের বাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়েছে। পুলিশ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।”

পুলিশ জানায়, জিসান ৯ অক্টোবর বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। জিসানের বাবা আলমগীর হোসেন দিঘলিয়া থানায় একটি জিডি করেন। তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, জিসানকে সর্বশেষ ফয়সালের সঙ্গে কোয়ার্টার থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে দেখা গেছে। পরে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। ফয়সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ির উঠান থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।