
মাদাগাস্কারে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর মঙ্গলবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে এই ঘোষণা দেন সেনাবাহিনীর এক কর্নেল।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কর্নেল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আমরা দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে।
এর আগে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপিত ও পাস হয়। রাজধানী আন্তানানারিভোতে অনুষ্ঠিত ভোটে ১৩০ জন সংসদ সদস্য অভিশংসনের পক্ষে রায় দেন। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জনরোষ।
অভিশংসন পাশ হওয়ার পর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা বলেন, এই ভোট সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক। যেহেতু জাতীয় পরিষদ আগেই বিলুপ্ত করা হয়েছিল, তাই এই অধিবেশনই অবৈধ। তিনি সংসদের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদাগাস্কারে দুর্নীতি, দারিদ্র্য এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে তরুণদের নেতৃত্বে ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজারো মানুষ। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরেও ভাঙন দেখা দেয় ‘ক্যাপসাট’ নামের একটি সামরিক ইউনিট প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করে এবং বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নেয়। এর পর থেকেই পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে ওঠে।
বর্তমানে রাজোয়েলিনা ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ২০০৯ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় আসেন তিনি এবং এরপর তিন দফায় মাদাগাস্কার শাসন করেন।