ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে খুন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন শিবলু মিয়া (২০) নামের এক তরুণ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর সরকারি পুকুরপাড় বাজার এলাকায় তাঁর ওপর এ হামলা চালানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শিবলু মিয়া স্থানীয় হেলাল উদ্দিনের ছেলে। বাবা-ছেলে দুজনেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার পর থেকে শিবলুর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিবলুর সঙ্গে ঘাগড়া ইউনিয়নের সুহেলী গ্রামের সিএনজিচালক সাইদ মিয়ার মেয়ে মিম আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুরুতে মিমের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নিলেও, এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শিবলু প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হতেন। শোনা যায়, স্ত্রী মিম বাড়ি গেলে তাঁকে আর স্বামীর ঘরে ফেরানো হতো না।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পর মিম বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শিবলু গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি গেলে তাঁকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। তখন তিনি স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দেন। পরে শিবলুর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন।

শুক্রবার হাতেম মাতব্বরের বাড়িতে এ নিয়ে সালিস হওয়ার কথা থাকলেও শ্বশুরপক্ষের কেউ না আসায় তা বাতিল হয়।

শিবলুর চাচা আকিদুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার ঠিক আগে শিবলু চায়ের দোকানে বসে ছিল। তখন হঠাৎ কয়েকজন এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সে মারা যায়। শুনেছি শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনার পর বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার সময় শিবলু তার সঙ্গীদের জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে খুন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

আপডেট সময় : ১২:১১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন শিবলু মিয়া (২০) নামের এক তরুণ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর সরকারি পুকুরপাড় বাজার এলাকায় তাঁর ওপর এ হামলা চালানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শিবলু মিয়া স্থানীয় হেলাল উদ্দিনের ছেলে। বাবা-ছেলে দুজনেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার পর থেকে শিবলুর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিবলুর সঙ্গে ঘাগড়া ইউনিয়নের সুহেলী গ্রামের সিএনজিচালক সাইদ মিয়ার মেয়ে মিম আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুরুতে মিমের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নিলেও, এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শিবলু প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হতেন। শোনা যায়, স্ত্রী মিম বাড়ি গেলে তাঁকে আর স্বামীর ঘরে ফেরানো হতো না।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পর মিম বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শিবলু গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি গেলে তাঁকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। তখন তিনি স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দেন। পরে শিবলুর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন।

শুক্রবার হাতেম মাতব্বরের বাড়িতে এ নিয়ে সালিস হওয়ার কথা থাকলেও শ্বশুরপক্ষের কেউ না আসায় তা বাতিল হয়।

শিবলুর চাচা আকিদুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার ঠিক আগে শিবলু চায়ের দোকানে বসে ছিল। তখন হঠাৎ কয়েকজন এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সে মারা যায়। শুনেছি শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনার পর বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার সময় শিবলু তার সঙ্গীদের জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।