ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

৩০ সেকেন্ডে মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ

ছবি : সংগৃহীত

লালচে পাহাড়, আর দূর দিগন্তজুড়ে নীলাভ আকাশ। দৃশ্যপট যেন একেবারে মঙ্গলগ্রহের মতোই। সেই ভিনগ্রহসদৃশ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছে অত্যাধুনিক কিছু ক্যাপসুল। সেগুলো পেরিয়ে কিছুটা এগোলেই চোখে পড়বে এক ফিউচারিস্টিক বেজ ক্যাম্প, যার পাশেই রয়েছে স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। মরুর বুকে এমন দৃশ্য যে কাউকে চমকে দেবে।

পৃথিবী থেকে মঙ্গলের গড় দূরত্ব প্রায় ৩৫ কোটি কিলোমিটার। তবে সেই বিশাল দূরত্ব মুছে দিয়ে পৃথিবীর মাটিতেই ‘মঙ্গলগ্রহে ঘোরার’ অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে চীন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে অবস্থিত গোবি মরুভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মার্স বেজ ওয়ান’ নামের এক ব্যতিক্রমধর্মী স্থাপনা, যা দেখতে হুবহু মঙ্গলগ্রহের মতো।

স্পেস সায়েন্স ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে নির্মিত এই থিমভিত্তিক বেজটি মহাকাশে আগ্রহী দর্শনার্থীদের কাছে রীতিমতো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ড্রোন ও ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, গোবি মরুভূমির বুকে গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক স্থাপত্যে নির্মিত এক বেজ ক্যাম্প, যার ইন্টেরিয়র ডিজাইনও বেশ উদ্ভাবনী।

দর্শনার্থীরা এখানে এসে মহাকাশচারীদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ঘুরে দেখতে পারেন। স্পেস স্যুট পরে মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতাও নিতে পারেন সিমুলেশনের মাধ্যমে। রয়েছে স্পেসক্রাফট ডকিং, সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার এবং থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান বাসস্থানের অভিজ্ঞতা।

এক দর্শনার্থী বলেন, “মহাকাশচারীরা কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তা বুঝতে পেরেছি। আমারও মাথা ঘুরিয়েছে এবং কিছুটা অস্বস্তি লেগেছে।” আরেকজন জানান, “মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ ব্যবধান বোঝানোর জন্য যদি কোনো মেশিন থাকত, তাহলে অভিজ্ঞতা আরও বাস্তব হতো।”

শিশুদের জন্য এই অভিজ্ঞতা অ্যারোস্পেস বিষয়ে আগ্রহ জাগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলেও অভিভাবকদের মন্তব্য।

প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মার্স বেজ ওয়ানে রয়েছে রোভারের রেপ্লিকা, মঙ্গল প্রোব, নক্ষত্র দেখার তাঁবু, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে গাছ চাষের ব্যবস্থা এবং আরও নানা আয়োজন যা মঙ্গলগ্রহের আবহ পরিবেশন করে।

পৃথিবীতে থেকেই যেন এক পা বাড়িয়ে ফেলা হচ্ছে লাল গ্রহের পথে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

৩০ সেকেন্ডে মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ

আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

লালচে পাহাড়, আর দূর দিগন্তজুড়ে নীলাভ আকাশ। দৃশ্যপট যেন একেবারে মঙ্গলগ্রহের মতোই। সেই ভিনগ্রহসদৃশ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছে অত্যাধুনিক কিছু ক্যাপসুল। সেগুলো পেরিয়ে কিছুটা এগোলেই চোখে পড়বে এক ফিউচারিস্টিক বেজ ক্যাম্প, যার পাশেই রয়েছে স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। মরুর বুকে এমন দৃশ্য যে কাউকে চমকে দেবে।

পৃথিবী থেকে মঙ্গলের গড় দূরত্ব প্রায় ৩৫ কোটি কিলোমিটার। তবে সেই বিশাল দূরত্ব মুছে দিয়ে পৃথিবীর মাটিতেই ‘মঙ্গলগ্রহে ঘোরার’ অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে চীন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে অবস্থিত গোবি মরুভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মার্স বেজ ওয়ান’ নামের এক ব্যতিক্রমধর্মী স্থাপনা, যা দেখতে হুবহু মঙ্গলগ্রহের মতো।

স্পেস সায়েন্স ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে নির্মিত এই থিমভিত্তিক বেজটি মহাকাশে আগ্রহী দর্শনার্থীদের কাছে রীতিমতো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ড্রোন ও ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, গোবি মরুভূমির বুকে গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক স্থাপত্যে নির্মিত এক বেজ ক্যাম্প, যার ইন্টেরিয়র ডিজাইনও বেশ উদ্ভাবনী।

দর্শনার্থীরা এখানে এসে মহাকাশচারীদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ঘুরে দেখতে পারেন। স্পেস স্যুট পরে মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতাও নিতে পারেন সিমুলেশনের মাধ্যমে। রয়েছে স্পেসক্রাফট ডকিং, সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার এবং থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান বাসস্থানের অভিজ্ঞতা।

এক দর্শনার্থী বলেন, “মহাকাশচারীরা কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তা বুঝতে পেরেছি। আমারও মাথা ঘুরিয়েছে এবং কিছুটা অস্বস্তি লেগেছে।” আরেকজন জানান, “মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ ব্যবধান বোঝানোর জন্য যদি কোনো মেশিন থাকত, তাহলে অভিজ্ঞতা আরও বাস্তব হতো।”

শিশুদের জন্য এই অভিজ্ঞতা অ্যারোস্পেস বিষয়ে আগ্রহ জাগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলেও অভিভাবকদের মন্তব্য।

প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মার্স বেজ ওয়ানে রয়েছে রোভারের রেপ্লিকা, মঙ্গল প্রোব, নক্ষত্র দেখার তাঁবু, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে গাছ চাষের ব্যবস্থা এবং আরও নানা আয়োজন যা মঙ্গলগ্রহের আবহ পরিবেশন করে।

পৃথিবীতে থেকেই যেন এক পা বাড়িয়ে ফেলা হচ্ছে লাল গ্রহের পথে।