ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলো ইসলামপন্থী দল টিএলপি

ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের এক সপ্তাহ পর ইসলামি রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি)–কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।

সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টিএলপি সন্ত্রাসী ও সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। টিএলপি এক বিবৃতিতে জানায়, সরকারের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক, প্রতিশোধমূলক, অবৈধ ও স্বৈরাচারী।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতির ঘোষণার আগেই টিএলপি অনুসারীরা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেই বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। এর পর থেকেই দলটি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।

এ নিয়ে গত চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ইসলামপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার।

সুন্নি ইসলামপন্থী এই সংগঠনটি ২০১১ সালে একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুই মিলিয়নেরও বেশি ভোট পেয়ে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

টিএলপি নিয়মিত গণসমাবেশ আয়োজন করে থাকে এবং গাজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুতে অবস্থান প্রকাশ করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলো ইসলামপন্থী দল টিএলপি

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের এক সপ্তাহ পর ইসলামি রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি)–কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।

সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টিএলপি সন্ত্রাসী ও সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। টিএলপি এক বিবৃতিতে জানায়, সরকারের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক, প্রতিশোধমূলক, অবৈধ ও স্বৈরাচারী।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতির ঘোষণার আগেই টিএলপি অনুসারীরা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেই বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। এর পর থেকেই দলটি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।

এ নিয়ে গত চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ইসলামপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার।

সুন্নি ইসলামপন্থী এই সংগঠনটি ২০১১ সালে একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুই মিলিয়নেরও বেশি ভোট পেয়ে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

টিএলপি নিয়মিত গণসমাবেশ আয়োজন করে থাকে এবং গাজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুতে অবস্থান প্রকাশ করে।