ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংঘর্ষ

সাভারের আশুলিয়া থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের এই ঘটনা ঘটে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০–৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।

একপর্যায়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করে। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেটকার। ভাঙচুর চালানো হয় আরো পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। উত্তেজনার এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পল্টন হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবীতে সীতাকুণ্ডে জামায়াতের বিক্ষোভ

থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ০৪:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

সাভারের আশুলিয়া থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের এই ঘটনা ঘটে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০–৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।

একপর্যায়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করে। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেটকার। ভাঙচুর চালানো হয় আরো পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। উত্তেজনার এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’