
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলকর্মী মো. সাজ্জাদ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবদলের আট কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদ ছিলেন নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মো. আলম জানান, “আমার ছেলেকে যুবদল নামধারী বোরহানের নেতৃত্বে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মূল আসামিসহ সকল খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ছয়জনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে। প্রধান আসামি বোরহান উদ্দিন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার লাগানোর নির্দেশে বোরহানও যুক্ত ছিলেন। পরে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান।”
নগর যুবদলের কমিটি বর্তমানে বিলুপ্ত। বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদ জানিয়েছেন, “বোরহান উদ্দিন আমাদের দলের কেউ নন। তাকে আমরা চিনি না।”
ডেক্স নিউজ/নিউজ টুডে 

























