ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

১১ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া সফরে শি জিনপিং, নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত

এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনকে সামনে রেখে ১১ বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং। শনিবার (১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

লি জে-মিয়ংয়ের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সরবরাহ-শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ইস্যুগুলোও আলোচনায় থাকবে।

এটি হবে শি জিনপিংয়ের ১১ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া সফর এবং লি জে-মিয়ংয়ের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ।

চীন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যপ্রবাহ কমেছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনের পর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়, যার কড়া বিরোধিতা করেছিল বেইজিং।

এরপর থেকে সিউল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করলেও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ন্যু কাম্পে আতঙ্ক: পেদ্রির চোট আবারও বার্সার দুশ্চিন্তা

১১ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া সফরে শি জিনপিং, নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনকে সামনে রেখে ১১ বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং। শনিবার (১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

লি জে-মিয়ংয়ের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সরবরাহ-শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ইস্যুগুলোও আলোচনায় থাকবে।

এটি হবে শি জিনপিংয়ের ১১ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া সফর এবং লি জে-মিয়ংয়ের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ।

চীন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যপ্রবাহ কমেছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনের পর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়, যার কড়া বিরোধিতা করেছিল বেইজিং।

এরপর থেকে সিউল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করলেও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।